গুজরাতে মৃত্যু শ্রমিকের

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রিতু মুশহর (৫৫)। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের আমদাবাদ শহরের অদূরে ফতেবাড়ি এলাকার শ্রমিকদের ভাড়া বাড়ির একটি ঘর থেকে রিতুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ০৬:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

গুজরাতে দিনমজুরির কাজে গিয়ে রায়গঞ্জের শীতগ্রামের এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর মিলল। মৃত্যুর তদন্ত ও দেহ আনার ব্যবস্থা করার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে মৃতের পরিবারের লোকেরা রায়গঞ্জ থানায় আইসির দ্বারস্থ হন। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মৃতের পরিবারের সন্দেহ। যদিও তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রিতু মুশহর (৫৫)। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের আমদাবাদ শহরের অদূরে ফতেবাড়ি এলাকার শ্রমিকদের ভাড়া বাড়ির একটি ঘর থেকে রিতুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। গুজরাত পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্ত করিয়ে এ দিন ট্রেনে চাপিয়ে রায়গঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে। খুনের প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করলে তা গুজরাত পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

রিতুর স্ত্রী ওমনি গৃহবধূ। তাঁদের বড়ছেলে উপাসু ও ছোটছেলে বিশু দিনমজুরি করেন। ওমনির দাবি, তিন মাস ধরে তাঁর স্বামী মুশহর এলাকায় কাজ পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে তাঁদের বাজারে ধারদেনা বাড়ছিল। ১০ মার্চ করণদিঘির দোমহনা এলাকার বাসিন্দা ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী এক ঠিকাদারের কাছ থেকে অগ্রিম মজুরি বাবদ ৮ হাজার টাকা নেন রিতু। পর দিন ওই ঠিকাদারের নির্দেশে এলাকার কিছু ব্যক্তির সঙ্গে দিনমজুরির কাজে যোগ দিতে গুজরাতে রওনা হন রিতু। ১৮ মার্চ ফতেবাড়ি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক দিনমজুর রিতুর ছোট ছেলে বিশুকে ফোন করে জানান, রিতু মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সে কথা শোনার পরে পরিবারের লোকজন রিতুকে বাড়িতে ফেরাতে অনুরোধ করেন।

সেই সময় ওই ব্যক্তি তাঁদের জানান, ঠিকাদারকে অগ্রিম টাকা ফেরত দিলেই তাঁরা রিতুকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন। পর দিন উপাসু ও বিশু দোমহনাতে গিয়ে ওই ঠিকাদারকে চার হাজার টাকা ফেরত দিয়ে তাঁদের বাবাকে বাড়িতে ফেরাতে অনুরোধ করেন। রিতু বাড়ি ফিরলে তাঁরা বাকি চার হাজার টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলেও ওই ঠিকাদারকে প্রতিশ্রুতি দেন। ওই ঠিকাদারও তাঁদের আশ্বাস দেন।

উপাসু ও বিশুর দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতেবাড়ি থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় দিনমজুর আমাদের ফোন করে জানান, বাবা আত্মহত্যা করেছেন। বাবাকে খুন করা হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। দেহ এলে পুলিশে অভিযোগ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন