বোমাবাজি, ফের জখম

স্থানীয় বাসিন্দারা তপন ঘোষ নামে জখম ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৭:৪৯
Share:

টলহ দিচ্ছে বাহিনী।

ফের দফায় দফায় বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হল মালদহের মহদিপুরের রামকেলি গ্রাম। এ দিনও বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা তপন ঘোষ নামে জখম ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির শরীরে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। গত তিনদিনে এই নিয়ে এক মহিলা-সহ দু’জন বোমাবাজিতে জখম হলেন একই গ্রামে। এ ছাড়াও অভিযোগ, বৃ্হস্পতিবার রাতে পিস্তলের বাটের আঘাতে জখম হয়েছিল এলাকারই নবম শ্রেণির এক ছাত্র। সব মিলিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত দু’পক্ষই তৃণমূলের হওয়ায় পুলিশ কার্যত পদক্ষেপ করছে না। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়াসবাড়ি এলাকায় প্রায় ৪০ বিঘা একটি পুকুরের দখলদারি নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকেলির বাসিন্দা শত্রু ঘোষ, স্বপন ঘোষ, কার্তিক ঘোষদের সঙ্গে কালু ঘোষ, চিন্ময় ঘোষদের এক বছরের বেশি সময় ধরে বিবাদ চলছে। তবে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দু’পক্ষের লাগাতার বোমাবাজি চলে। বৃ্হস্পতিবার সকালে বোমাবাজিতে অনীতা ঘোষ নামে এক মহিলা আহত হন। বৃহস্পতিবার রাতেই মারধরে জখম হয় এক নবম শ্রেণির ছাত্র হীরু ঘোষ। হীরুকে পিস্তলের বাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন সকাল থেকে ফের বোমাবাজি শুরু হয়। বোমার আঘাতে জখম হন তপন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। তিনি এলাকারই শত্রু ঘোষের ভাই। তপনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তপনের পরিবারের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে কালু ঘোষের নেতৃত্বে লোকজন বোমাবাজি করে চলেছেন। সেই বোমার আঘাতে এ নিয়ে দু’জন পরপর জখম হলেন। পুলিশ সেইভাবে কোনও পদক্ষেপ করছে না। কালু ঘোষের পরিবারের লোকজন অবশ্য বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এ দিন বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আসাদুল হকের অভিযোগ, একটি পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়েছে। যেহেতু দু’টি পক্ষই তৃণমূলের ছত্রছায়ায়, সেই কারণে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন