জমি নিয়ে শরিকি সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দিঘলগাঁও। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বর শরিকি সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পিন্টু মহম্মদ (২৫)। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের দু’পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পরে গুলিও চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন নুর আলম নামে এক ব্যক্তি। লাঠির আঘাতে জখম হন আফসানা খাতুন নামে এক মহিলা। তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। আহত দুজনকেই প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে শিলিগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
রবিবার রাতের ঘটনার জেরে সোমবার দিঘলগাঁও ফের তেতে ওঠে। নিহতের পরিবারের লোকজন সকাল থেকে মারমুখী হয়ে ওঠায় উত্তেজনা বাড়ে। কয়েক দফায় সংঘর্ষ চলে। এলাকার অনেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সেখানে পৌঁছলে সংঘর্ষ থামে। কিন্তু নিহতের পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ইসলামপুর-দাসপাড়া রাজ্য সড়ক দু’ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এর জেরে যানজটে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের বোঝানোর পর অবরোধ ওঠে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় দুপুরে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়।
ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ছিল। জমির সমস্যা নিজেদের মিটিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কিছু দিন আগে গন্ডগোলের সময়ে এক যুবক জখম হন। রবিবার রাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানতে পেরেছি। তা নিয়েও ফের উত্তেজনা ছড়ায়। গুলিতে একজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। দু’পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে। যুবককে খুনের মামলায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, তিন কাঠা বাস্তু জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল চলছে। তা নিয়ে মারপিটের সময়ে পিন্টু-সহ কয়েকজন জখম হন। তবে পিন্টুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে যে মারপিট হয়েছে সেখানে পাইপগান থেকে গুলি চলেছে বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ পাইপগানের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন অন্তত তিনজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।