সুনসান পথঘাট

কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘এলাকা জুড়েই তৃণমূলের তাণ্ডব চলছে। প্রশাসন মদত জোগাচ্ছে। তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছি। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, নির্দল সবাই এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়েই বন্‌ধ পালন করছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০৩:৪৯
Share:

টহল: সন্ত্রাসের পরে দাসপাড়ায় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

কংগ্রেসের কর্মী খুনের প্রতিবাদে বন্‌ধ ডেকেছিল কংগ্রেস। তাদের সমর্থন করে বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল। তার জেরে শুক্রবার দিনভর চোপড়ার দাসপাড়া, লক্ষ্মীপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার দোকান-বাজার সমস্তই ছিল বন্ধ। আর এক দিকে, চোপড়ার চাপড়ামারিতে গন্ডগোলের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’ এলাকায় তল্লাশি চলছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দাসপাড়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম চাপড়ামারিতে সংঘর্ষ ছড়ায়। কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ঢোকার সময় তাঁদের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। মহম্মদ সামিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক কংগ্রেস কর্মী মারা যান। আহত হয়েছেন আরও এক জন। শুক্রবার দিন ভরই এলাকা ছিল থমথমে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ দেখা গেলেও চাপড়ামারিতে পুলিশ ছিল না বলেই দাবি এলাকাবাসীর। বিকেলের পরে দেহ পৌঁছনোর খবর ছড়াতেই ভিড় জমাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।

কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘এলাকা জুড়েই তৃণমূলের তাণ্ডব চলছে। প্রশাসন মদত জোগাচ্ছে। তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছি। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, নির্দল সবাই এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়েই বন্‌ধ পালন করছি।’’ প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা আনওয়ারুল হকের কথায়, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ থাকলে এই ঘটনা কোনও দিন ঘটত না। তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডাকা কংগ্রেসের এই বন্‌ধের পাশে আছি।’’ বিজেপির চোপড়া ব্লক সভাপতি অসীম বর্মনের কথায়, ‘‘আর কত দিন গন্ডগোল চলবে বুঝতে পারছি না। এলাকার মানুষ বাড়ি থেকে বার হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। কংগ্রেসের বন্‌ধকে আমরাও সমর্থন করেছি।’’

Advertisement

নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এলাকা জুড়ে গন্ডগোল চলছে। কবে থামবে এই গন্ডগোল, তার দিকেই তাকিয়েই এলাকাবাসী। যদিও তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক হামিদুর রহমানের কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার চোপড়ায় পুলিশ একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়েছিল। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ফাটিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গুলিও চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছিল বলে শুনেছি। তদন্ত হলেই বোঝা যাবে। চোপড়ার কয়েক জন দুষ্কৃতী এলাকাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।’’ এলাকাতে শান্তি ফিরে আসুক তা চান বিধায়কও।

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর ডিএসপিদের দিয়েই একটি বিশেষ দল তৈরি হয়েছে। তারা সেখানে ক্যাম্প করে রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন