বোর্ড গড়া নিয়ে ক্রান্তি ফের উত্তাল

গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপি তৃণমূল দুই দলের হাতাহাতিতে উত্তেজনা ছড়াল ক্রান্তিতে। ঘটনায় ৬ জন বিজেপি কর্মী জখম হন বলে দাবি। তাঁদের মধ্যে ষষ্ঠী রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সদস্যেরাই ইচ্ছা করে গোলমাল পাকিয়েছেন।

Advertisement

সব্যসাচী ঘোষ

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

রক্তাক্ত: ক্রান্তিতে গোলমালে আহত বিজেপি সমর্থক। নিজস্ব চিত্র

গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপি তৃণমূল দুই দলের হাতাহাতিতে উত্তেজনা ছড়াল ক্রান্তিতে। ঘটনায় ৬ জন বিজেপি কর্মী জখম হন বলে দাবি। তাঁদের মধ্যে ষষ্ঠী রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সদস্যেরাই ইচ্ছা করে গোলমাল পাকিয়েছেন।

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরের বাইরে থেকেই বিজেপির চার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে তাড়িয়ে দেন। অথচ পুলিশ ছিল। কার্যত পুলিশের সামনেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময় তাঁরা ঢুকতে পারেননি। ঢুকতে না পারায় ক্ষুদ্ধ বিজেপি সমর্থকরা এরপরেই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের অদূরে ক্রান্তি সাতহাত কালীবাড়ি এলাকাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন। আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশের উপস্থিতিতে অবরোধ উঠতেই তৃণমূলের নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই হামলা চলে বলে অভিযোগ। লাঠি, ঢিল দিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আক্রমণের জন্যই তাঁদের ৬ জন সমর্থক জখম হন বলে ক্রান্তি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মালবাজার পশ্চিম মণ্ডল সভাপতি কমলেন্দু দেবশর্মা বলেন, “তৃণমূল নিজেদের উপরে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে আমাদের উপর এ ভাবে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের এই ধরনের হামলা আখেরে মানুষের সামনে ওদের মুখোশ খুলে দিয়ে আমাদের প্রচারের কাজেই সাহায্য করবে।”

এদিকে গোলমাল যখন চলছে তখন ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কাজও শুরু হয়ে যায়। ১২ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে প্রধান ও উপপ্রধান হন যথাক্রমে বসুন্ধরা দাস ও কমল রায়।

Advertisement

এদিকে বিজেপি বোর্ড গঠনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পরেছে জানার পরে এই অশান্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়িয়েছে বলেই জানান তৃণমূলের ক্রান্তি রাজনৈতিক ব্লক সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বিজেপি ইচ্ছা করেই বোর্ড গঠনে যোগ না দিয়ে গোলমাল পাকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।” পুরো ঘটনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মালবাজারের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী। অন্য দিকে অবশ্য ক্রান্তি লাগোয়া চেংমারি ও চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে এ দিন শান্তিপূর্ণ ভাবেই বোর্ড গঠন আয়োজিত হয়। চেংমারিতে অনুকূল বিশ্বাস ও চাপাডাঙার প্রধান হিসাবে নন্দিতা মল্লিক রায় মনোনীত হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement