দু’মাস ধরে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস বন্ধ, ক্ষোভ

ফলে বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী কেউই নিশ্চিত হতে পারছেন না। ১১ অক্টোবর গড়িমসির অভিযোগের পাশাপাশি দ্রুত ওই ট্রেন চালুর দাবিতে কোচবিহারে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রায় দু’মাস ধরে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের পরিষেবা বন্ধ থাকায় কোচবিহারের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহার থেকে সরাসরি কলকাতাগামী একমাত্র ট্রেনটি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, তেমনই ব্যাহত হয়েছে পণ্য পরিষেবাও। ট্রেনটি চালু করা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগও তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম চন্দ্রবীর রমণ বলেন, “ দ্রুত ওই ট্রেনের পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে চেষ্টা হচ্ছে।” রেল সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট তারিখ আপাতত এখনই বলা যাচ্ছে না।

Advertisement

ফলে বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী কেউই নিশ্চিত হতে পারছেন না। ১১ অক্টোবর গড়িমসির অভিযোগের পাশাপাশি দ্রুত ওই ট্রেন চালুর দাবিতে কোচবিহারে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। ওই সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “রাজ্যের প্রান্তিক জেলার সঙ্গে রাজধানী শহরে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র ট্রেনটি চালু নিয়ে টালবাহানা চলছে। বুধবার স্টেশনে আন্দোলন করা হবে।” দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী বলেন, “মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। আমরাও চাই দ্রুত পরিষেবা চালু করা হোক। রেলমন্ত্রীকে এ নিয়ে ইমেল পাঠান হয়েছে।”

ক্ষুব্ধ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনও। দিনহাটা স্টেশনে ওই ইস্যুতে স্মারকলিপি দিয়েছে জনজাগরণ মঞ্চ। কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, ট্রেনটি ইস্টার্ন রেলের শিয়ালদহ ডিভিসিনের আওতাধীন বলে এনএফ রেলওয়ের আলিপুরদুয়ার ডিভিসনের ওই ব্যাপারে তেমন গরজ নেই। এমনকী কবে থেকে ট্রেনটি চালানো হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ঘোষণা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এক রেল কর্তা অবশ্য বলেন, পুরো ভিত্তিহীন অপপ্রচার। পর্যায়ক্রমে ওই রুটের অন্য সমস্ত ট্রেন চালান হবে। পরিকল্পনা মাথায় রেখে বন্যায় বিধ্বস্ত সেতু সংস্কার থেকে মেরামতের সমস্ত কাজ চলছে।

Advertisement

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহকারি সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “কোচবিহারের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমাতে রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ওই ট্রেন চালু করেছিলেন। বিজেপির মদতে রেলের কিছু আধিকারিক ওই ট্রেনটি চালু করা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা না হলে আন্দোলন হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন,“ টেকনিক্যাল বিষয় না বুঝেই ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বাসিন্দাদের সমস্যা আমরাও বুঝি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হলে কি করার থাকে। বহু ট্রেন চালুও হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ওই ট্রেন চালুর আর্জিও জানান হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন