বিরিয়ানি, পাতুরি ও দই পটল

শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ফুড প্লাজায় আবার দিনে-রাতে দুরকম প্রস্তুতি। সপ্তমী থেকে নবমী রোজই দুপুরে আমিষ-নিরামিশ দু-ধরনের থালি। ভেটকি পাতুরি, দই পটল, বিউলি ডাল, আলু পোস্তও মিলবে। পাবদা, রুই তো পাবেনই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১২
Share:

রসনা: পুজোর আয়োজনে সঙ্গী নানা পদও। নিজস্ব চিত্র

এটাও পুজোর আয়োজন। তবে পেটপুজোর! শিলিগুড়ি শহরের প্রায় সব হোটেলেই দেদার আয়োজন। ১০০ শতাংশ বাঙালি খাবার থেকে চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল কত কী! শিলিগুড়ির বিধান রোডে পানিট্যাঙ্কি মোড়ের কাছে বাবলা ঘোষের হোটেল দিয়ে শুরু করা যাক। হিলকার্ট রোড, বিধান রোড, এমনকী কোচবিহারেও তাঁদের আত্মীয়দের হোটেল-ব্যবসা। পুজোর সময় সব ক’টি হোটেলেই বিশেষ মেনু। দুপুর থেকে প্রায় রাত ২টো অবধি ভিড়। বাঙালি খাবার তো মিলবেই। নানা ধরনের বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস, কাবাব, পোলাওয়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে চাইনিজ, কন্টিনেন্টালও। বাবলা বললেন, ‘‘পুজোয় রোজই মেনুতে রাখা হয় নতুন পদ। তা সে পোস্তের প্রিপারেশন হতে পারে অথবা ইলিশের নতুন আইটেম।’’

Advertisement

শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ফুড প্লাজায় আবার দিনে-রাতে দুরকম প্রস্তুতি। সপ্তমী থেকে নবমী রোজই দুপুরে আমিষ-নিরামিশ দু-ধরনের থালি। ভেটকি পাতুরি, দই পটল, বিউলি ডাল, আলু পোস্তও মিলবে। পাবদা, রুই তো পাবেনই। রোজ রাতে স্টেডিয়ামে বুফেতে ‘যত খুশি খাবার’-এর আয়োজন করেছে ফুড প্লাজা। সংস্থার কর্ণধার দেবতোষ সান্যাল বললেন, ‘‘পুজোর ডিনারটা নিজের খুশি মতো হলেই ভাল। সে জন্যই বুফের ব্যবস্থা। ভাত-বিরিয়ানি-বাটার নান, রুমালি রুটি, নানা ধরনের মাছ, শেষ পাতে চাটনি, আইসক্রিম ইচ্ছে মতো নেওয়ার সুযোগ মিলবে।’’

পুজোর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনের প্রতিযোগিতায় শহরের রেস্তোরাঁগুলিকে টপকে যেতে চাইছে লাগোয়া এলাকার রেস্তোরাঁও। যেমন, উত্তরায়ণের একটি নামী রেস্তোরাঁয় পুজোর দিনগুলিতে বুফেতে এলাহি ব্যবস্থা। সিটি সেন্টারের তিনতলায় একটি রেস্তোরাঁয় ‘বাম্বু বিরিয়ানি’র চাহিদাও পুজোর দিনগুলিতে তুঙ্গে পৌঁছবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। বাঁশের মধ্যে সুরভিত বিরিয়ানি প্লেটে পড়ার দৃশ্যেই সুঘ্রাণে মনটা ভরে উঠতে পারে। রেস্তোরাঁর অন্যতম কর্ণধার রাজীব দাস জানান, সেখানে রয়েছেন ইতালিয়ান নানা ‘ডিশ’ও। হরেক মকটেলও মিলছে।

Advertisement

শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে কদিন আগে একটা ‘চিনা খাবারের রেস্তোরাঁ খুলেছেন ননী অধিকারী। তিনবাতি মোড, এনজেপি এলাকায় একাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে তাঁর। এবার পুজোয় সেবক মোড়ের কাছে হিলকার্ট রোডের একটি ভবনের তিনতলায় চিনা রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

কলেজ পড়ুয়া নবনীল মিত্র বললেন, ‘‘পুজোর সঙ্গে খাবারের লড়াই জারি থাকাটা ভাল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন