পুরসভার কাজ নিয়ে তরজা মন্ত্রী-মেয়রের

একদিকে রাজ্য সরকার বরাদ্দ দেয় না বলে বারবার সরব হয়েছে পুরবোর্ড। আবার পুরসভায় বিরোধীরা বামবোর্ডের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, বরাদ্দ ঠিকঠাক না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৮
Share:

পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের।—ফাইল চিত্র।

শহরের উন্নয়ন নিয়ে ফের তরজা শুরু হল পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর থেকে দ্বিতীয় দফার প্রায় ৭ কোটি টাকার বরাদ্দে শহরের ১২টি ওয়ার্ডের একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেন মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘মহানাগরিককে শারদীয়ার শুভেচ্ছা রইল। উনি অসুস্থ ছিলেন। সুস্থ হয়েছেন। আরও ভাল থাকুন। কিন্তু ওঁর বিশ্রামের প্রয়োজন। যেভাবে শহরকে উনি চালাচ্ছেন, নাগরিক পরিষেবা বলে আর কিছু নেই। তাই আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।’’ পাল্টা মেয়রের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচিত বোর্ডকে এড়িয়ে সরকার, প্রশাসনকে নিয়ে সমান্তরাল ভাবে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন মন্ত্রী। বিশ্রাম ওঁর প্রয়োজন। উনিও তো অসুস্থ ছিলেন, চিকিৎসা হয়েছে।’’

Advertisement

একদিকে রাজ্য সরকার বরাদ্দ দেয় না বলে বারবার সরব হয়েছে পুরবোর্ড। আবার পুরসভায় বিরোধীরা বামবোর্ডের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, বরাদ্দ ঠিকঠাক না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। মাস দেড়েক আগে তৃণমূল পরিচালিত বরো কমিটিগুলি এসজেডিএ-র কাছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প জমা দিয়ে বরাদ্দ চায়। এর আগেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে পূর্ত দফতরকে দিয়ে শহরে নানা কাজ করানো হয়েছে। এর প্রথম ধাপ হিসাবে ১৪টি ওয়ার্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা এসজেডিএ-কে বরাদ্দ দেয় নগরোন্নয়ন দফতর। এ বার দ্বিতীয় ধাপে আরও ১২টি ওয়ার্ডের ৭ কোটি বরাদ্দ হল। রাস্তা, কালভার্ট, নর্দমা, পার্ক-সহ নানা কাজে ওই টাকা খরচ হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টি ওয়ার্ডে আলাদা করে বাছাই করে পুরসভাকে ছাড়াই উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে।

মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘বামবোর্ড উল্টোপাল্টা কাজ করছে। আমি পুর কমিশনারকে ফোন করে বলেছি।’’ তিনি জানান, অশোকবাবুরা ক্ষমতা দখল করে রাখতে মরিয়া। অশোকের কটাক্ষ, ‘‘ওঁরা হেরে পালানোর জায়গা পাবেন না। মানুষ ওঁদের যোগ্য জবাব দেবেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন