চিতাবাঘ টেনে নিয়ে গিয়েছিল এই ছাগলটিকে। — নিজস্ব চিত্র
খাবারের খোঁজে প্রতিরাতে হানা দিচ্ছে চিতাবাঘ। ঘর থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে হাঁস, মুরগি, ছাগল-সহ বিভিন্ন গবাদি পশু। সন্ধ্যার আঁধার নামতেই তাই চিতাবাঘের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকছে গোটা গ্রাম। দরজা-জানলা বন্ধ করে সন্ধ্যা নামতেই ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন তাঁরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রায়ডাক জঙ্গল লাগোয়া উত্তর রামপুর গ্রামে এখন এমন আতঙ্কের দেখা যাচ্ছে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশ দিনে চিতাবাঘ হানা দিয়ে আটটি ছাগল ও কুড়িটা মুরগি মেরে খেয়ে গিয়েছে। রবিবার রাতে গ্রামের বাসিন্দা স্বপন সূত্রধরের একটি ছাগল টেনে নিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হল্লায় সেটিকে ফেলে পালিয়ে যায় চিতাবাঘ। স্বপনবাবু জানালেন, ‘‘গলায় থাবা বসানোয় ছাগলটির গরুতর জখম হয়েছে। শুধু রবিবার রাতেই নয়, গত এক সপ্তাহে তাঁর বাড়ি থেকে চারটি ছাগল টেনে নিয়ে গিয়েছে চিতাবাঘ।’’
চিতাবাঘের হানা থেকে বাড়ির হাঁস-মুরগি-ছাগল রক্ষা করবেন কী ভাবে, সেটাই এখন বড় চিন্তা সকলের। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতার দাবি তুলেছেন তাঁরা। বাসিন্দা সঞ্জয় দেবনাথ বললেন, “সারা বছর হাতির হানা লেগেই রয়েছে। এর ফলে গ্রামে চাষাবাদ হয় না। ছাগল-হাঁস-মুরগি পালন করে অনেকে সংসার চালান। চিতাবাঘের হানায় এখন তাও বন্ধ করে দিতে হবে মনে হচ্ছে। ক’দিন এ ভাবে চলবে জানি না।’’
উদ্বিগ্ন বনকর্তারাও। দক্ষিণ রায়ডাক রেঞ্জের ডেপুটি রেঞ্জ অফিসার সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে ওই গ্রামে চিতাবাঘের হানার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এলাকায় বনকর্মিরা নজরদারি চালাচ্ছেন। খাঁচা পাতার ব্যাপারে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।”