খুনের ক্ষোভে উত্তাল হরিশ্চন্দ্রপুর

গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল দাস খুন হওয়ার জেরে ক্ষোভে উত্তাল হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর। তাঁকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে দুপুর থেকে একাধিক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। সন্ধেয় মালদহ থেকে নিহতের দেহ পৌঁছানোর পর থানার ভিতরে দেহ রেখেও চলে বিক্ষোভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৩
Share:

রাস্তা আটকে চলছে বিক্ষোভ। হরিশ্চন্দ্রপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল দাস খুন হওয়ার জেরে ক্ষোভে উত্তাল হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর। তাঁকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে দুপুর থেকে একাধিক রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। সন্ধেয় মালদহ থেকে নিহতের দেহ পৌঁছানোর পর থানার ভিতরে দেহ রেখেও চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি আঁচ করে এ দিন দুপুর থেকেই গোটা এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। কিন্তু তারপরেও কয়েক হাজার মানুষের অবরোধ-বিক্ষোভের জেরে গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

Advertisement

চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন,‘‘এরমধ্যেই চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজেও লাগাতার তল্লাশি চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের ধরা হবে।’’

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুর উত্সব পালনের ম়ঞ্চে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। হরিশ্চন্দ্রপুরে ওই উত্সব পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন গায়ক তথা তৃণমূল নেতা সৌমিত্র রায়। সেখানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই তৃণমূল নেতা সৌমিত্র রায় ও তজমুল হোসেন গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

Advertisement

ওই সময় উজ্জ্বলবাবুকে রাস্তায় ফেলে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধেয় মালদহে একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় উজ্জ্বলবাবুর। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান তজমুল হোসেনের ভাই সামিউদ্দিন রহমান ওরফে জম্বুর পাশাপাশি দলের দুই যুব নেতা বারেকুল ইসলাম, মকরম আলি সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মী তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৫ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নামে পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ জম্বু সহ চারজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্তদের অনেকেই এখনও অধরা বলে অভিযোগ তৃণমূলেরই একাংশের। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভের সঙ্গে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কেন এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না তা নিয়েও দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সেই ক্ষোভের আঁচই এ দিন এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। উজ্জ্বলবাবু ছিলেন তৃণমূল নেতা সৌমিত্র রায়ের বন্ধু। বন্ধুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তিনিও। বললেন, ‘‘ সামান্য ঘটনায় ওরা এভাবে ওকে খুন করবে ভাবতেই পারছি না। শোক প্রকাশের ভাষা নেই।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘আমরা শোকাহত। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। যারা ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে দল ব্যবস্থা নেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement