শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
রাজ্য বাজেটে শিলিগুড়িকে কিছুই দেওয়া হয়নি বলে বঞ্চনার অভিযোগ বুধবারই তুলেছিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবারই টাকা খরচা করতে না পারার পাল্টা অভিযোগ তুললেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। তাঁর দাবি, টাকা খরচ করতে পারছেন না মেয়র। উল্টে সাধারণ প্রান্তিক পুরবাসীর উপর করের বোঝা চাপিয়ে চলেছেন। তবে মেয়র পাল্টা দাবি করেছেন, টাকা খরচ না করতে পারার অভিযোগ মিথ্যে। রঞ্জনবাবুর দাবি, গত চার বছরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি পুরসভা। তিনি বলেন, ‘‘টাকা খরচ করতে পারছেন না। যেদিন ১৮ কোটি টাকা পাওয়ার খবর এল। সেদিনই টাকা পাননি বলে অভিযোগ তুলছেন তিনি।’’
পুরসভার বিরোধীদলের দাবি, যাদের বাড়ির কর বার্ষিক কুড়ি টাকার নীচে তাঁদের কর মকুব করে একটি নথি দিক পুরসভা। নথি না থাকায় পুরসভার এটি বড় অংশের প্রান্তিক বাসিন্দা বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগের সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে চলেও যাচ্ছেন। একই সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এ রকম কোনও উত্তরাধিকারীকে সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মিউটেশন ফি শূন্য করতে হবে। আগামী মাসে পুরসভার বাজেট রয়েছে। বিরোধীদের কাছে পুরকর্তৃপক্ষ প্রস্তাব চেয়েছিল। এই দুটি প্রস্তাবই তাঁরা দিয়েছেন।
টাকা খরচ করতে না পারার প্রসঙ্গে অশোকবাবু বলেন, ‘‘তিনি তথ্য না দিয়েই এ সব বলছেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকা খরচ করতে পারছে না বলে রাজ্য কোনও অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে তোলেনি।’’ কর মকুব প্রসঙ্গে অশোকবাবু জানান, কুড়ি টাকার নীচে কর রয়েছে এরকম সকলের জন্যই একটি আবেদন করার নিয়ম রয়েছে যে, তাঁরা কর দিতে অপারগ। তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়। সংশাপত্রও দেওয়া হয়। কিন্তু যাঁরা নিজেরাই দিতে চাইছেন, তাঁদের কাছে কর নেওয়া হচ্ছে। এটাই নিয়ম। তবে মিউটেশন নিয়ে বাজেটের আগে কিছু বলতে চাননি মেয়র।