নিরামিষ খেতে হচ্ছিল

প্রতিদিনই মিছিল হচ্ছ়িল। হস্টেল থেকে বেরোতে না দিলেও এ সব খবর হস্টেলে বসেই জানতে পারতাম। খুব ভয় করত। বন্‌ধ চলছে।

Advertisement

আনন্দ আনোয়ার

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ০২:২৮
Share:

সেন্ট পলস স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। স্কুলের হস্টেলে থাকতে হয়। আমাদের স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ খুবই ভালো। থাকতে খুবই ভাল লাগে। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক ধরে দার্জিলিং শহরে নানা গোলমালের খবর শুনতে পাই। সব খবর জানতে পারি না। তবে হস্টেলে যে কর্মীরা খাবার-সহ বিভিন্ন জিনিস দিতে আসেন, তাদের মুখ থেকে অনেক কথা শুনেছি। পাহাড়ে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার খবর শুনেছি। প্রতিদিনই মিছিল হচ্ছ়িল। হস্টেল থেকে বেরোতে না দিলেও এ সব খবর হস্টেলে বসেই জানতে পারতাম। খুব ভয় করত। বন্‌ধ চলছে। সে জন্যই একদিন আগেই আমাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে এ দিন ঠিক মতো নামতে না পেরে ভাল লাগছে।

Advertisement

বাংলাদেশ থেকে আমার মতো অনেকেই এই স্কুলে পড়তে এসেছে। এ দিন আমরা ৮ জন এক সঙ্গে ফিরেছি। সকলেই কিন্তু দুশ্চিন্তায় রয়েছি। হস্টেলে থাকলে বাড়ির সঙ্গে সব সময় কথাও হয় না। আমাদের পরীক্ষা চলছিল। তার মধ্যে গোলমাল বাধে। নানা চিন্তা মাথায় আসত। বাড়ি থেকে সাবধানে থাকতে বলত। হস্টেলে গত কয়েকদিন ধরে শুধু নিরামিষ খেতে হচ্ছিল। বন্‌ধের জন্য বাজার হাট খুলছে না। তাই মাছ, মাংস আনতে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন