West Bengal Electricity Board

বিদ্যুৎ কেটে ফের জুড়ল পর্ষদ, বিতর্ক

অস্বস্তিতে পড়ে বিচ্ছিন্ন করার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে সাংসদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ফের জুড়ে দেন পর্ষদের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:২০
Share:

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

বকেয়া আদায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ ‘ঢালাও’ হারে করছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। সে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ‘বিচ্ছিন্ন’ করে দেওয়া হল বিজেপি সাংসদের বাড়িও। শনিবার বিকালে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের বাঁধ রোডে সাংসদ খগেন মুর্মুর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে মালদহে। পরে, অস্বস্তিতে পড়ে বিচ্ছিন্ন করার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে সাংসদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ফের জুড়ে দেন পর্ষদের কর্মীরা। নাম বিভ্রান্তির কারণে সাংসদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে পর্ষদ দাবি করলেও, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

Advertisement

পর্ষদের মালদহ ডিভিশনের আঞ্চলিক আধিকারিক (রিজিওন্যাল ম্যানেজার) উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘‘সাংসদের নিজস্ব নামে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বিভ্রান্তি হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। তবুও কারও, কোনও ত্রুটি রয়েছে কি না,তা দেখা হচ্ছে।” ইংরেজবাজার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ রোডে বহু বছর ধরে বাড়ি রয়েছে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে সাংসদের ছোট ছেলে ধীরাজ মুর্মুর নামে। তাঁর নামেই বিদ্যুতের বিল হয়। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ পর্ষদের কর্মীরা গিয়ে সাংসদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাঁদের দাবি, বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। জানা গিয়েছে, সাংসদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৪,৭৭৮ টাকা। এ দিন পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। তবে, জরিমানা দিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যেও বিল দেওয়া যেতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিলে উল্লেখ রয়েছে।

ফলে, সাংসদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। খগেন মুর্মুর বড় ছেলে অনিমেষ মুর্মু বলেন, “সাংসদের বাড়ি বলার পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার তারিখ এখনও রয়েছে। তবুও সংযোগ কেন কেটে দেওয়া হয়েছিল, বুঝতে পারছি না।” খগেন মুর্মু বলেন, “বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার দিন এখনও বাকি রয়েছে। তার পরেও আমি বিরোধী দলের সাংসদ বলে বিদ্যুৎ দফতর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার বাড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।”

Advertisement

অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “বিজেপির সাংসদ সব কিছুতেই রাজনীতি দেখেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সঙ্গে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন