Madhyamik Result 2023

‘ছেলেদের স্বপ্ন দেখাতেন শিক্ষকেরা’

এ দিন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে ফুল নিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সামন্ত।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা, বাপি মজুমদার 

  মালদহ শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ০৮:৫৬
Share:

প্রধান শিক্ষককে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে ছাত্ররা। ছবি: স্বরূপ সাহা

এ যেন স্বপ্নপূরণ! মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে ১৩ জন ছাত্র জায়গা করে নিয়েছে। শুক্রবার ফল প্রকাশ হতেই ছাত্র, অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে মিষ্টি মুখে মেতে উঠলেন ওই স্কুলের শিক্ষকেরা। এমন ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলে দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বারই প্রথম মেধা তালিকায় ঠাঁই মিলেছে কালিয়াচকের সুজাপুর হাই স্কুলের তিন ছাত্রীর। এ ছাড়া, ইংরেজবাজার শহরের অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশনের দু’জন ছাত্র, চাঁচলের রানি দাক্ষায়ণী গার্লস স্কুল এবং কালিয়াচকের নাজিরপুর হাই স্কুলের এক জন করে ছাত্রী ও ছাত্র মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। মালদহের ছাত্রছাত্রীদের এমন ফলে খুশি জেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরাও। তাঁদের দাবি, মেধা তালিকায় নাম না উঠলেও, মাধ্যমিকের ফলাফলের নিরিখে নজর কেড়েছে জেলার স্কুলগুলিও।

Advertisement

এ দিন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে ফুল নিয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সামন্ত। তিনি বলেন, ‘‘সার্বিক ভাবে জেলায় এ বার মাধ্যমিকের ফল ভাল হয়েছে। এ বছর জেলার ২১ জন মেধা তালিকায় রয়েছে। মাধ্যমিকে সফল হওয়া সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’

মেধা তালিকায় নজর কেড়েছে জেলার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। মেধা তালিকায় জেলার ২১ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এই স্কুলেরই ১৩ জন। রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে রিফত হাসান সরকার। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে চার জন আর ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম এবং দশম দুই জন করে হয়েছে। এর আগে, ২০০২ সালে এই মিশন থেকে রাজ্যে প্রথম এবং তৃতীয় হয়েছিল। এর পরে, প্রতি বছর মিশনের ছাত্ররা মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে বলে দাবি করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

তবে, এ বারে ১৩ জনের এক সঙ্গে মেধা তালিকায় জায়গা করে নেওয়া নজিরবিহীন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। কী ভাবে মিলল এমন সাফল্য? রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দ বলেন, “ছেলেদের শিক্ষকেরা স্বপ্ন দেখাতেন। সে স্বপ্ন ছেলেরা বাস্তবায়িত করেছে। মাধ্যমিকে ক্লাসে নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া হত। শিক্ষকেরাও প্রচুর পরিশ্রম করেন। ছাত্র, শিক্ষকের যৌথ পরিশ্রমের ফল এ দিন আমরা পেয়েছি।”

চাঁচলের রানি দাক্ষায়নী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অসীমা ত্রিবেদী বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের ছাত্রী অনুশ্রেয়া দাস রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম হয়েছে। মেয়েদের মধ্যে জেলায় প্রথম। এ ছাড়া, ইফতেসাম ইরিনা নামে আর এক ছাত্রী ৬৮০ পেয়েছে। পাশাপাশি, ২১ জন ছাত্রী ছ’শোর বেশি নম্বর পেয়েছে। মেয়েদের সাফল্যে আমরা ভীষণ খুশি।’’ সুজাপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক পাল বলেন, “রাজ্যের মেধা তালিকায় কখনও স্কুলের কেউ স্থান পায়নি। এ বার তিন জন ছাত্রছাত্রী ঠাঁই পাওয়ায় খুব খুশি আমরা।” অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অজয় রায় বলেন, ‘‘স্কুলে বরাবরই মাধ্যমিকে ফল ভাল হয়। এ বার মেধা তালিকায় দুই ছাত্র রয়েছে। ভাল লাগছে।’’ কালিয়াচকের নাজিরপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামিম আক্তার বলেন, ‘‘গত বছর রাজ্যে নবম হয়েছিল। এ বার সপ্তম হয়েছে। গোলাম ভাল ফল করবে আশা ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন