চালু হয়নি জলপাইগুড়ির কৃষি ভবন। নিজস্ব চিত্র
উদ্বোধনের তিন মাস পরেও জলপাইগুড়ির কৃষি ভবন চালু হয়নি বলে অভিযোগ। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাজলডোবা থেকে বোতাম টিপে পাঁচতলা এই ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনের পরেও কেন এই ভবন চালু হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যখন এই ভবন উদ্বোধন করেছিলেন তখনও ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয় নি। আজও নির্মাণ কাজ চলছে বলে দাবি দফতরের ।
বাম সরকারের সময়ে জলপাইগুড়ি শহরের ক্লাব রোডে কাঠের তৈরি ভবনেই গড়ে উঠেছিল উত্তরবঙ্গ কৃষি আঞ্চলিক কার্যালয়। তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী কমল গুহের জন্য এই কার্যালয়ে পৃথক একটি ঘরও তৈরি করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে কমল গুহ এখানেই স্থায়ী কৃষি দফতর গড়ে তোলার জন্য শিলান্যাস করেছিলেন বলে দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। যে জমিতে ভবন তৈরির শিলান্যাস করা হয়েছিল সেই জমি ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন বলে দফতর জানতে পারে। পরবর্তীতে জমি জট কাটাতেই দীর্ঘ সময় চলে যায় বলে সূত্রের খবর। ফের ২০০৮ সালে কৃষি মন্ত্রী নরেন দে এখানেই উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক কৃষি দফতর গড়ার কাজ শুরু করেন। আবারও শিলান্যাস হয় এই ভবনের। একই ভবনের দু’বার শিলান্যাস নিয়ে সেই সময়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারকে। অবশেষে ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার কয়েক কোটি টাকা খরচ করে এই কৃষি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে বলে দফতরের এক আধিকারিক জানান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১ অক্টোবর ভবনের উদ্বোধন করে এই ভবনকেই উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক কৃষি দফতর হিসেবে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ভবনে কৃষি দফতরের অধীনে থাকা কৃষি তথ্য দফতর, কৃষি কার্যালয়, মুখ্য কৃষি অধিকর্তা, মহকুমা ও ব্লক কৃষি আধিকারিকের দফতর, মাটি পরীক্ষা, কৃষি বিপণন দফতর ও মোট আটটি দফতর একই ছাঁদের নীচে চলবে বলে দাবি কৃষি দফতরের।
জলপাইগুড়ি কৃষি দফতরের উপ কৃষি অধিকর্তা সুজিত পাল বলেন, ‘‘ভবন তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনও হয়েছে। কিন্তু আজও এই ভবনের সব কাজ শেষ হয়নি। এখনও ভবনের কিছু কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলেই এই ভবনে উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক কৃষি কার্যালয় চালু করা হবে।’’