সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে দেওরদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা। তাঁকে বিবস্ত্র করে হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।
রবিবার সন্ধ্যে ছটা নাগাদ মালদহের ইংরেজবাজার থানার যদুপুরের সনাতলা গ্রামে এই ঘটনায় আক্রান্ত দম্পতির চিকিৎসা করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সোমবার সকালে ঘটনার পরিপেক্ষিতে তিন জনের নামে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন আক্রান্ত দম্পতি। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা চার ভাই। তাঁদের বাবা মা দু’জনই মারা গিয়েছেন। এক বাড়িতে থাকলেও হাঁড়ি আলাদা। আক্রান্ত ব্যক্তি দিনমজুরি করেন। তাঁর দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বসত জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে গোলমাল চলছে।
এ দিন সন্ধে বেলা আচমকা ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তাঁদের বড়ো ভাই। এই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। ওই ব্যক্তি রাজি না হলেও অপর দুই ভাই বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, স্বামীকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে যান স্ত্রী। সেই সময় অভিযুক্ত দুই দেওর মহিলাকে বাড়িতে সবার সামনে বিবস্ত্র করে মারধর শুরু করে। এমনকী, হাঁসুয়া দিয়ে মহিলার মাথায় আঘাত করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে গেলে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। তারপর আক্রান্ত দম্পতিকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই মহিলার আঘাত গুরুতর রয়েছে। তবে তাঁর স্বামীকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিনই ইংরেজবাজার থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তি তাঁর তিন ভাইয়ের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই আমাকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে ওই তিন জন বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। এ দিন আমাকে আচমকা মারধর শুরু করে। আমার স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয়। আমি চাই পুলিশ ওই তিন জনকে ধরে চরম শাস্তি দিক।’’ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা ফেরার রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।