—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আবার পণের বলি বাংলায়। এ বার ঘটনাস্থল মালদহ। শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এনে দিতে না পারায় বধূকে অ্যাসিড খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। ২২ বছরের যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী-সহ শশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম গৌরী পাল। বছর তিনেক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা গৌরীর বিয়ে হয় পুরাতন মালদহের মৌলপুর লেবুবাগান এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত পালের। তাঁদের দুই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গৌরীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় লক্ষাধিক টাকা পণ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল প্রশান্তকে। কিন্তু তার পরেও প্রতিনিয়ত বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বধূকে। এমনকি, তিনি যখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, সেই সময় শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ।
সে বার গৌরীর বাপের বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয় প্রশান্তদের। তখন আবার শ্বশুরবাড়িতে ফেরানো হয় তাঁকে। এরই মধ্যে আবার পাঁচ লক্ষ টাকা পণ দাবি করেন প্রশান্ত। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হত। অভিযোগ, টাকা না পেয়ে সোমবার রাতে গৌরীর উপর অত্যাচার করেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার পর অ্যাসিড খাইয়ে খুন করা হয়। গভীর রাতে ওই বধূকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অন্য দিকে, মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক বলে খবর।