Mysterious Death

যুবকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলেন তরুণী, গঙ্গারামপুরে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু

আমিনুরের পরিবারের দাবি, দিল্লিতে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আমেনাকে। কিছু দিন পর বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ফেরার পথে রাস্তায় আমেনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গঙ্গারামপুর শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:২৩
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

বছরখানেক আগে এক যুবকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলেন তরুণী। বিয়ে করে দিল্লিতে স্বামীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এক বছর পর গঙ্গারামপুরে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হল সেই তরুণীর। স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে গঙ্গারামপুর থানায় গেল তরুণীর পরিবার। যদিও ওই যুবকের পরিবারের দাবি, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু তরুণীর। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম আমেনা খাতুন। বয়স ২০ বছর। গঙ্গারামপুরের প্রাণ সাগরে থাকতেন তিনি। গত বছর তপন থানার মালাহার গ্রামের যুবক আমিনুর মোল্লার সঙ্গে ঘর ছেড়ে গিয়ে বিয়ে করেন আমেনা। এর পর কাজ নিয়ে তাঁরা দু’জনেই দিল্লি চলে যান। আমিনুরের পরিবারের দাবি, দিল্লিতে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আমেনাকে। এর কিছু দিন পর বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ফেরার পথে রাস্তায় আমেনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গারামপুরে পৌঁছনোর পর সেখানকার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আমেনাকে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমেনার জেঠু মহম্মদ আইয়ুব আলি সরকারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে আমিনুরের পরিবার। এক বছর আগে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তার পর তাঁকে আর বাড়ি ফিরতে দেননি। তাঁরা কোথায় থাকতেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। শুধু মায়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলতেন আমেনা। আইয়ুবের দাবি, ফোনে আমেনা জানিয়েছিলেন, পরিবারের সকলে তাঁকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে তিনি সন্তানসম্ভবা হন। তার পর থেকেই অসুস্থতা বাড়ে। সাত মাসে তাঁর প্রসব হয়। কী কারণে দ্রুত প্রসব হয়েছিল, তা-ও অজানা পরিবারের কাছে।

Advertisement

যদিও অভিযোগ মানেনি আমিনুরের পরিবার। তাঁর আত্মীয় মাঝিদুর মোল্লা জানান, মেয়েটি অসুস্থ ছিল। দিল্লিতে চিকিৎসা করে কোনও লাভ হয়নি। তাই তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসা হচ্ছিল। রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন