Raiganj Medical College

Raiganj Medical College: সদ্যোজাতকে নিয়ে মেঝেয় পরপর শুয়ে প্রসূতিরা

মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে ৫০টি শয্যা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে মাঝেমধ্যেই সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জন করে প্রসূতি থাকছেন।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২২ ০৯:০৯
Share:

পাশেই পড়ে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র।

মেঝেতে সদ্যোজাতদের নিয়ে লাইন দিয়ে শুয়ে রয়েছেন প্রসূতিরা। সাফাই কর্মীরা তাঁদের পাশ দিয়েই ঝেঁটিয়ে আবর্জনা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, মেঝেতে থাকা প্রসূতিদের একাংশকে দিনভর অনেকের পায়ের গুঁতো সহ্য করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। গত এক সপ্তাহ ধরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে শয্যার অভাবের জেরে এ ভাবেই দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের সহকারী সুপার অভীক মাইতির দাবি, উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশিরভাগ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার করে প্রসবের পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। ফলে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অনেক প্রসূতিকে মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সেই কারণেই, গত এক সপ্তাহ ধরে মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে শয্যার অভাব চরমে উঠেছে। অভীক বলেন, “এই পরিস্থিতিতে প্রসূতিদের একাংশকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ছাড়া মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কোনও উপায় নেই। তবে খুব শীঘ্রই মেডিক্যালের নয়া ভবন চালু হবে। ওই ভবন চালু হলে মেডিক্যালের পুরনো ভবনে পর্যাপ্ত শয্যা-সহ প্রসূতি বিভাগ চালু করা হবে।”

মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে ৫০টি শয্যা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে মাঝেমধ্যেই সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জন করে প্রসূতি থাকছেন। অভিযোগ, অতিরিক্ত প্রসূতিদের সদ্যাজাত-সহ মেঝেতে রাখা হচ্ছে। ফলে সাফাই কর্মীরা ঝেঁটিয়ে আবর্জনা সাফ করার সময়ে ধুলোবালির জেরে সমস্যায় পড়েছেন প্রসূতিরা। ওই ঘটনার জেরে প্রসূতি ও তাঁদের সদ্যোজাতদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোরও আশঙ্কা বাড়ছে। পাশাপাশি, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও আয়াদের হাঁটাচলার সময়ে মাঝেমধ্যেই তাঁদের পায়ের গুঁতো সহ্য করতে হচ্ছে প্রসূতিদের। মেডিক্যালের তৃণমূল প্রভাবিত অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি সত্যরঞ্জন সরকার বলেন, “প্রসূতিদের দুর্ভোগ রুখতে সংগঠনের তরফে দীর্ঘদিন আগেই মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে প্রসূতি বিভাগের শয্যা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। দ্রুত দাবি পূরণ না হলে সংগঠনের তরফে আন্দোলনে নামা হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন