দেশে প্রথমবার সাফ মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং শিলিগুড়িতে। তাই আয়োজনে খামতি রাখতে চান না অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন এবং শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে মাঠে লোক আনতে সচেষ্ট তাঁরা। শিলিগুড়ি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলগুলিতে ফেডারেশন এবং ক্রীড়া পরিষদের তরফে চিঠি পাঠিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। রবিবার দুটি প্রচার গাড়িও বার করা হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় দিনভর ঘুরে সেগুলি খেলার প্রচার করেছে। হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। তাতে উদ্যোক্তাদের আশা ফুটবলপ্রেমীদের পাশাপাশি সাধারণ বাসিন্দাদের অনেককেই মাঠমুখী করা যাবে।
অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের তরফে প্রতিযোগিতার কোঅর্ডিনেটর সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুল কলেজগুলিতে আমরা প্রচার চালিয়েছি। তা ছাড়া শিলিগুড়ি, তথা উত্তরবঙ্গে মহিলা ফুটবল এই প্রতিযোগিতা থেকে উজ্জীবিত হবে বলে আমাদের আশা।’’
বাংলাদেশ বাদে সাফ প্রতিযোগিতার বাকি ছ’টি দেশের মহিলা ফুটবল দল ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। এদিন দুপুরের পর শহরে পৌঁছেছে মালদ্বীপ দলটি। তার আগে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, ভারত এবং আফগানিস্তান দলের কোচ এবং দলের মহিলা ক্যাপ্টেনদের নিয়ে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগে মাল্লাগুড়িতে একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকেরও ব্যবস্থা করা হয়। শিলিগুড়ির ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী তাঁদের সকলেই।
দেশের অন্যান্য অংশে সঙ্গে এখানকার আবহাওয়ার খুব বেশি ফারাক নেই বলেই মনে করেন ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ সাজিদ ইউসুফ দর বা টিম ম্যানেজার স্বপ্না রানি। এখানে আসার আগে তিন সপ্তাহ অনুশীলন করে এসেছে দলটি। রবিবার শিলিগুড়ির রানিডাঙায় এসএসবি মাঠে বিকেলে অনুশীলন করে তারা। সকালে ওই মাঠেই অনুশীলন সেরেছে আফগানিস্তান। দলের নেতৃত্বে থাকা শবনম মোবারেজ, কোচ লিন্ডসে কেলিরা জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তারা ভাল ফুটবল উপহার দিতে চেষ্টা করবেন। কোচ বলেন, ‘‘এখানে আসার আগে সানফ্রান্সিসকোতে এক সপ্তাহের শিবির হয়েছে। তবে শিলিগুড়িতে এসেই গোটা দলটিকে এক সঙ্গে অনুশীলন করাতে পারছি।’’ ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর পর তারা প্রতিদিনই অনুশীলন করেছেন। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে তাদের মানিয়ে নিতেও তা সাহায্য করছে বলে কোচের দাবি।
নেপালের কোচ কুমার থাপা বলেন, ‘‘সাফ ফুটবলে রানার্স হলেও চ্যাম্পিয়ন খেতাব এখনও আমাদের অধরা। এবার শিলিগুড়িতে সেটা পেতেই আমরা সচেষ্ট।’’ ভুটানের কোচ সাংজে লি কোরিয়া থেকে এসেছেন মাস খানেক আগে। এ দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল নিয়ে বিশেষ জানা নেই। সাফ ফুটবল থেকেই তিনি ধারণাটা পরিষ্কার করতে চান।