Terrorism

কাঁটা ছাড়া সীমান্তই মাথাব্যথা

উন্মুক্ত সীমান্ত নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারাও। জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপাই পাড়া, বাঙালপাড়া, খুদিপাড়া, অন্তুপাড়া, খেকিরডাঙা এবং হিন্দুপাড়া এই ছ’টি গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া নেই।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৭
Share:

প্রতীকী চিত্র

পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গিযোগের অভিযোগ ওঠার পরেই বাসিন্দারা তৎপরতা দেখতে পেলেন জলপাইগুড়ির কাঁটাতারহীন সীমান্তের গ্রামগুলিতে। সূত্রের খবর, গত রবিবারই নগরবেরুবাড়ি জুড়ে একাধিক গ্রামে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল নজরদারি চালিয়েছে। দলটি সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছে। যদিও দলটির পরিচয় সম্পর্কে বাসিন্দারা স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, উন্মুক্ত সীমান্তে মাঝেমধ্যেই বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা পরিদর্শন চালায়। গত রবিবার তেমনিই রুটিন পরিদর্শন হতে পারে। সীমান্তে সড়ক-জলের কাজ করা অন্য কোনও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও পরিদর্শন করে থাকতে পারেন বলে দাবি। বিএসএফ সরকারি ভাবে জানিয়েছে যে তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। তবে রাজ্যে জঙ্গি তৎপরতা ধরা পড়ার পরে উন্মুক্ত সীমান্ত যে মাথাব্যাথার কারণ তা স্বীকার করেছেন বিএসএফের অফিসারেরা।

Advertisement

বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্রের দাবি, রাজ্য থেকে একাধিক জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরেই উন্মুক্ত সীমান্তে কড়াকড়ির নির্দেশ এসেছে। সীমান্তে কয়েক মিটার দূরে দূরে বাঁশের মাঁচা মানিয়ে ওপরে খড়ের ছাউনি দেওয়া পোস্টে বসেই নজরদারি চালান জওয়ানরা। উন্মুক্ত সীমান্তের দু’পাশেই বিস্তৃত খেত। খেতে দু’পারের বাসিন্দারাই কাজ করেন। কে কখন সীমান্ত পার হয়ে চলে আসছেন তা সর্বক্ষণ নজরদারি সম্ভব হয় না বলে দাবি। সে কারণেই নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। উন্মুক্ত সীমান্ত নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট পাঠানো হয় বলে জানাচ্ছেন বিএসএফের এক আধিকারিক।

উন্মুক্ত সীমান্ত নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারাও। জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপাই পাড়া, বাঙালপাড়া, খুদিপাড়া, অন্তুপাড়া, খেকিরডাঙা এবং হিন্দুপাড়া এই ছ’টি গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত-বিরেতে পাচার থেকে গরুচুরি লেগেই থাকে। এক বাসিন্দার কথায়, “নিশুতি রাতে ঘুম ভাঙলে বাইরে লোকজনের ফিসফাস শোনা যায়। সকালে খেতে পায়ের ছাপ, টেনে-হিঁচড়ে গরু নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখা যায়।” এমন অভিযোগই গোয়েন্দা এজেন্সির মথাথাব্যাথার কারণ বলে দাবি। যে পথে চুরি-পাচার হতে পারে সে পথে রাতের অন্ধকারে জঙ্গি আনাগোনাও হবে না এমন নিশ্চয়তা কোথায়, প্রশ্ন বাসিন্দাদের। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নতিবর রহমানের কথায়, “খোলা সীমান্তের কারণে নানা ঘটনা লেগেই থাকে। আমরা প্রশাসনকে নজরদারি বাড়ানোর দাবি মাঝেমধ্যেই জানাই, আবার জানাব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন