Ambulance theft

ঝাড়ুদার সেজে হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুল্যান্স চুরি উত্তরবঙ্গে! তবে ‘শেষরক্ষা’ হল না

রবিবার সকালে ঝাড়ুদারের ছদ্মবেশে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় মানুষ তাড়া করে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে ধরে ফেলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২৭
Share:

অ্যাম্বুল্যান্স চুরিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি (বাঁ দিকে)। হাসপাতাল থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্সটিই চুরির চেষ্টা হয়েছিল (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

সাইকেল, মোটরবাইক চুরির কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু আস্ত অ্যাম্বুল্যান্স চুরি! তেমনই কাণ্ড ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের একটি হাসপাতালে। ঝাঁটা হাতে ঝাড়ুদারের বেশে হাসপাতালে ঢুকে সটান অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পালান এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। পরে অবশ্য জনতা তাড়া করে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে ধরে ফেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

বুনিয়াদপুর পুরসভার রশিদপুর হাসপাতাল। রবিবার সকালে এক মাঝবয়সি ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করেন। তার পর হাতে একটি ঝাঁটা নিয়ে ঝাড়ুদারের কাজ করতে শুরু করেন। সকাল থেকে বিভিন্ন অ্যাম্বুল্যান্স রোগী নিয়ে যাতায়াত করছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই যুবক হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে উঁকি মেরে দেখেন। সেই অ্যাম্বুল্যান্সের চাবিও গাড়িতেই লাগানো ছিল। তা দেখেই ওই ব্যক্তি লাফিয়ে উঠে পড়েন অ্যাম্বুল্যান্সে। অভ্যস্ত হাতে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে সোজা বেরিয়ে যান হাসপাতাল থেকে। এ দিকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক আচমকা খেয়াল করেন, তাঁরই গাড়ি নিয়ে চোখের সামনে দিয়ে বিদ্যুৎগতিতে বেরিয়ে গেলেন একজন। চিৎকার করতে থাকেন তিনি। আরও কয়েক জন জুটে যায়। কয়েক জন ধাওয়া করেন অ্যাম্বুল্যান্সটির পিছনে। হাসপাতাল এলাকা ছেড়ে তত ক্ষণে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে গিয়েছে বুনিয়াদপুরের স্কুল মোড়ে। সেখানেই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে থামানো হয়। চালকের আসন থেকে ওই ব্যক্তিকে নামিয়ে উত্তেজিত জনতা উত্তমমধ্যম দেন। তার পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম আমিন মুর্মু। বয়স আনুমানিক ৫০ বছর।

ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন। ধৃত যুবক সকালে সাফাইকর্মী পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে ঢুকে ছিলেন। তিনি আদৌ পুরসভার সাফাইকর্মী কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তালিকা মিলিয়ে দেখা যায় এই নামে কোনও সাফাইকর্মী পুরসভায় নেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন