মোবাইল ফোনে এলাকার এক মহিলাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এক যুবককে মারধর করল প্রতিবেশীরা। ওই যুবককে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তাঁর পরিবারের এক মহিলা-সহ তিনজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানার জগজ্জীবনপুর গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জগজ্জীবনপুরের বাসিন্দা ধ্রুবজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিবেশী নিতাই মণ্ডলের মধ্যে মাসখানেক ধরে বিবাদ চলছে। অভিযোগ, ধ্রুবজিৎ নিতাইয়ের স্ত্রীকে ফোনে মাঝেমধ্যেই উত্ত্যক্ত করেন। একাধিকবার নিষেধ করার পরেও শোনেনি ধ্রুবজিৎ। শুক্রবার সন্ধেবেলাতেও ফোন করেন ধ্রুবজিৎ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে তুমুল বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ধ্রুবজিৎকে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন নিতাই ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ধ্রুবজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর দাদা ও বাবা-মা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে হইচই পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে সেখান থেকে ধ্রুবজিৎ ও তাঁর দাদা সুরজিৎকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। ধ্রুবজিতের বাবা অবিনাশ ও মা লক্ষ্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিনের ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের লোকেরা থানায় নিতাই-সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ধ্রুবজিৎ বলেন, “প্রতিবেশী থাকার কারণে পরিচয় রয়েছে। তাই একবার ফোন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র সন্দেহের কারণে এ দিন আমাকে মারধর করা হয়। এমনকী, আমার বাবা, মা ও দাদাকেও বাঁশ, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়।” নিতাই বলেন, “বারংবার নিষেধ করা সত্ত্বেও আমাদের বাড়িতে ধ্রুবজিৎ ফোন করে। এদিনও ফোন করে উত্ত্যক্ত করছিল। অভিযোগ জানাতে গেলে আমাদের উল্টে হেনস্থা করা হয়। আমরাও থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।