কলেজের প্রথম বর্ষের ভর্তিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ইসলামপুরে। শুক্রবার দুপুরে ইসলামপুর কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে খবর, এদিন ইসলামপুর কলেজে প্রথম বর্ষের চারটি বিষয়ে কাউন্সেলিং ছিল। সকালে স্বচ্ছ ভাবে কাউন্সেলিং এর দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রপরিষদ। একই সময়ে কলেজে কাউন্সেলিং এর দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল ছাত্রপরিষদও। পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই সময়ে সমস্যা মিটে যায়। এর পরই কলেজের কাউন্সেলিং দেরিতে শুরু হওয়ার অভিযোগ তুলে কলেজের কাউন্সেলিং রুমে ঢুকে পড়ে ছাত্রপরিষদের সদস্যরা। কাউন্সেলিং কী ভাবে হবে, তা বুঝতে না পেরে এক দল ছাত্রও ঢুকে পড়ে সেখানে। কলেজে সেই সময় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের উপর মৃদু লাঠি চার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পরই কাউন্সেলিং শুরু হয় কলেজে। যদিও লাঠি চার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেন ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল। তিনি বলেন, “লাঠি চালানো হয়নি। উত্তেজিত যুবকদের সরাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেছিল পুলিশ।” তিনি আরও বলেন, “পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
কলেজ সূত্রে খবর, ইসলামপুর কলেজে ভর্তির আবেদনপত্র জমা অনলাইনের মাধ্যমে হলেও কাউন্সেলিং-এর জন্য ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিত হতে হয়েছে।
এদিন ছিল ইসলামপুর কলেজে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও ভুগোল অনার্সের কাউন্সেলিং। যদিও ছাত্রপরিষদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ কাউকেই এই বিষয়ে বৈঠকে না ডেকে নিজের খেয়াল খুশি মতোই কাউন্সিলিং করাচ্ছেন। এরই প্রতিবাদে কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ছাত্রপরিষদের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদস্য এহসানুল হক বলেন, “কলেজে স্বচ্ছ ভাবে যাতে কাউন্সেলিং হয়, তারই দাবিতে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছিলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলিং দেরিতে শুরু করায় অনেক ছাত্রছাত্রী বাড়ি ফিরে গিয়েছে। সেই কারণেই আমরা অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম, এদিন দুপুরের পর কাউন্সেলিং শুরু না করতে।”
যদিও তৃণমূল ছাত্রপরিষদের দাবি, কলেজে নিয়ম মেনেই কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কলেজ ইউনিটের সদস্য আলি আকবর বলেন, “কাউন্সেলিং-এর জন্য অনেক দূর থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এসেছিল। যদি তা বন্ধ থাকে, তবে সমস্যায় পড়বেন ছাত্রছাত্রীরা। কলেজে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে ছাত্রপরিষদই।” তবে ইসলামপুর কলেজের অধ্যক্ষ উতথ্য বন্দোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “কলেজে এদিন কিছু ছাত্রছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। চারটি বিষয়ে কাউন্সেলিংও করা হয়েছে।”