অনাস্থা নিয়ে কোন্দল তৃণমূলে

বাম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। মঙ্গলবার মালবাজার ব্লকের মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। মৌলানি অঞ্চল তৃণমূলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সই করা অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয় বিডিওকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩২
Share:

বাম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল। মঙ্গলবার মালবাজার ব্লকের মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। মৌলানি অঞ্চল তৃণমূলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সই করা অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয় বিডিওকে। এদিকে তাঁদের অন্ধকারে রেখে অনাস্থা আনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্রান্তি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করুণাময় চক্রবর্তী বলেন, “অঞ্চল কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা আগে ব্লক কমিটিকে জানাতে হয়। এটাই দলীয় রীতি। কিন্তু এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। পুরো বিষয়টি জেলা পর্যায়ে জানাব। তার পর দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি নরেশচন্দ্র রায়ের যুক্তি, “জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েই অনাস্থার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্লক কমিটি অযথা অনাস্থা আনতে দেরি করছিল।”

Advertisement

বাম পরিচালিত ১২ সদস্যের মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫টি আসনে আরএসপি, ৪টি আসনে সিপিএম এবং তিনটি আসনে তৃণমূল জেতে। প্রধান পদটি ছিল আরএসপির দখলে। প্রধান আফিজুদ্দিন আহমেদ তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে বেশ কিছু মাস ধরে মৌলানি জুড়ে জল্পনা চলছিল। অঞ্চল কমিটির সভাপতি নরেশচন্দ্র রায়ের কথায়, “প্রধান তৃণমূলে যোগ দেবেন শুনছি। আরএসপির চার সদস্য তৃণমূলে যাওয়ায় আমরাই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলেছি। তাই প্রধান কবে যোগ দেবেন তার অপেক্ষায় বসে না থেকে আমরা অনাস্থা জমা দিয়েছি ।”

করুণাময়বাবুর দাবি, মৌলানির আরএসপির প্রধান আফিজুদ্দিন আহমেদকে নিয়ে সোমবারই জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। করুণাময় বাবু দাবি, “সেখানে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেন। তাই অপেক্ষার বিষয় নেই।” পঞ্চায়েতের প্রধান আফিজুদ্দিন আহমেদও তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক বলে জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি। তবে অনাস্থা যারা এনেছেন তাঁরা যদি অনাস্থা প্রমাণ করতে সক্ষম হন তাহলে আমি অবশ্যই আইন মেনে পদ থেকে সরে দাঁড়াব।” জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানান, মৌলানির আরএসপি প্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করে দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ব্লক আর অঞ্চল কমিটির মধ্যে বিবাদ নেই। দলে আলোচনা করে অনাস্থা আনা হয়েছে।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন