শুরুতেই হোঁচট খেল বালুরঘাট-হাওড়া দ্বি-সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেন। বালুরঘাটে সিঙ্গল লাইনে মালদহগামী গৌড় এক্সপ্রেস বেরনোর জন্য বুনিয়াদপুরে হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেসের অপেক্ষা করতে হয়। ওই ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে গঙ্গারামপুর স্টেশনে এক ঘণ্টা এক ধরে বাসিন্দাদের ট্রেনটি অবরোধ ও বিক্ষোভের জেরে যাত্রী দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছয়। সোমবার ট্রেনটির সূচনা হয় হাওড়া থেকে।
এ দিন পূর্বরেল কর্তৃপক্ষের তরফে সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি রওনা হয়। বালুরঘাট স্টেশনে নির্ধারিত সন্ধ্যে সওয়া ৭টা নাগাদ ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু বুনিয়াদপুর থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সিঙ্গল লাইন। তার উপর এদিন বালুরঘাট থেকে গৌড়লিঙ্ক এক্সপ্রেস প্রায় দেড়ঘন্টা লেটে ছাড়ে। ফলে বুনিয়াদপুরে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেসটিকে বুনিয়াদপুরে অপেক্ষা করিয়ে গৌড় লিংককে মালদহ অভিমুখে রওনা করানো হয়।
বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সভাপতি পীযূষকান্তি দেব ট্রেনটি অবরোধ মুক্ত করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে অনুরোধ করে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ শেষে গঙ্গারামপুরের তৃণমূলে জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে অনুরোধ করলে রাত ১০ টা নাগাদ বিক্ষোভরত তৃণমূল সমর্থক সহ স্হানীয় বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেন। তবে ট্রেনটি পৌঁছতেই বালুরঘাটে স্টেশনে উপস্থিত কংগ্রেস এবং বিজেপির তরফে নতুন ট্রেনের চালক ও গার্ডদের ফুলের মালা পড়িয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়।
স্টেশনে হাজির জনতার মধ্যেও রাজনৈতিক দলগুলি লাড্ডু বিতরণ করে সন্ধ্যে থেকেই স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা। তিনি বলেন, “এদিনের সাক্ষী থাকতে পেরে ভালো লাগছে।”
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, বালুরঘাট-হাওড়া ১৩০৬৩ নম্বর আপ এবং ১৩০৬৪ নম্বর ডাউন ট্রেনটি সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার চলবে। ওই দুদিন ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বালুরঘাট স্টেশনে পৌঁছে ফের ওইদিন রাত ৮টা ১৫মিনিটে হাওড়া অভিমুখে রওনা হয়ে পরদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে পৌঁছবে।