মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও স্থায়ী হয়নি টাওয়ার। তিনি ফিরে যাওয়ার পর থেকেই মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল জয়ন্তী বনবস্তিতে। এলাকায় অস্থায়ী একটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার থাকলেও তা জেনারেটরের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। চলতি মাসের গোড়ার দিকে সফরে এসে বাসিন্দাদের দাবি মতো ওই টাওয়ারটি জেলাশাসককে স্থায়ী করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও কার্যত কিছুই হয়নি বলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
বনবস্তির বাসিন্দা শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ইমেল পাঠাব।” বাসিন্দারা জানান, জয়ন্তী বনবস্তিতে মোবাইল পরিষেবা নেই। ফলে সমস্যা লেগেই রয়েছে। গত ১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী জয়ন্তীতে গেলে তড়িঘড়ি সেখানে দু’টি বেসরকারি সংস্থার মোবাইল পরিষেবা চালু করা হয়। ২ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী এক বাসিন্দার কাঠের দাওয়ায় বসে চা খেতে খেতে এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। সেই সময় শেখরবাবুরা মোবাইল পরিষেবার সমস্যার কথা জানান তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসে ছিলেন জেলাশাসক অ্যালিস ভাজ। তাঁকে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি। শেখরবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার ৪-৫ দিনের মাথায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থায়ী টাওয়ারও বসেনি। এলাকায় স্থায়ী টাওয়ার বসালে ২৮ মাইল, সন্তালাবাড়ির মতো প্রত্যন্ত এলাকাগুলি পরিষেবা পাবে।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত জেলাশাসক ফোলদেন শেরপা বলেন, “জেলাশাসক মোবাইল পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শীঘ্র টাওয়ার বসানোর চেষ্টা হচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীও জানান যে তাঁরা পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলেই
আশা তাঁদের।