আইসিকে মারধরে খুনের চেষ্টার মামলা হরিশ্চন্দ্রপুরে

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসিকে মারধরের ঘটনায় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ মোট ছটি ধারায় মামলা শুরু করল পুলিশ। অন্তত ৫০ জন হামলায় যুক্ত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে এদের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা সহ ১৪৩, ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২ ও ৩৩৩ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসিকে মারধরের ঘটনায় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ মোট ছটি ধারায় মামলা শুরু করল পুলিশ। অন্তত ৫০ জন হামলায় যুক্ত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে এদের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা সহ ১৪৩, ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২ ও ৩৩৩ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আইসির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মামলা হলেও পুলিশ অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও ওই ঘটনায় জড়িতরা এদিন এলাকাতেই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “আইসিকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ ছ’টি ধারায় মামলা শুরু করেছে। শীঘ্রই অভিযুক্তদের ধরা হবে।”

Advertisement

গ্রামবাসীদের দাবি, আইসিকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়নি। পুলিশ আন্দোলনকারীদের একাংশকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ দিকে হরিশ্চন্দ্রপুরে পরের পর ক্ষুব্ধ জনতার হামলার নিশানা হওয়ায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ওই থানায় পুলিশকর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোল বটতলা এলাকায় ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনায় মির খলিল(৪১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরেই তেতে ওঠে গোটা এলাকা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেহ আটকে অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে বেধড়ক মার খান আইসি বাবিন মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, যথেচ্ছ কিল, চড়, ঘুষির পাশাপাশি তাকে ছুরি মেরে খুনেরও চেষ্টা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবরোধ তুলতে গিয়ে আইসি আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাতেই এলাকাবাসীর একাংশ ক্ষেপে গিয়ে তার উপর চড়াও হলেও ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা হয়নি। যদিও আইসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, এসডিপিও এলাকায় পৌঁছালে তার গাড়ির সামনে এক ব্যক্তি শুয়ে পড়ে পুলিশ মেরেছে বলে রটানোর চেষ্টাও করে।

Advertisement

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, ওইদিন পুলিশকে হেনস্থা করার জন্য বাসিন্দাদের একাংশ রীতিমত প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশকর্মীর সংখ্যা শুধু ওখানে নয়, সব থানাতেই প্রয়োজনের তুলনায় কম রয়েছে।” সোমবার ভিঙ্গোলে ব্যাঙ্কে চুরির চেষ্টার তদন্তে যাওয়ার পর জিপ ভাঙচুর করে পুলিশকর্মীদের তালাবন্দি করে রেখেছিলেন বাসিন্দাদের একাংশ। পর দিন ওই এলাকাতেই আইসিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তাই নিরাপত্তা নিয়েই শঙ্কিত পুলিশকর্মীরা। এই থানায় আগে র্যাফ থাকলেও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রয়েছেন মাত্র পাঁচ অফিসার ও তিনজন কনস্টেবল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন