মালদহ ও কোচবিহারে ১০০ বিঘায় পরীক্ষামূলক চাষ

আমন ধান ফলাতে বিদেশি পদ্ধতি

অস্ট্রেলিয়ার প্রকল্পে এ বার নতুন পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ শুরু হল উত্তরবঙ্গে। পরীক্ষামূলক ভাবে মালদহ ও কোচবিহারে ১০০ বিঘা জমিতে ওই ধান চাষ করা হচ্ছে। চাষ সফল হলে আগামী বছর থেকে ব্যাপক হারে ওই চাষে নামার কথা ভাবছে কৃষি দফতর। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং ওই প্রকল্পের রাজ্যের সাইট কো-অর্ডিনেটর অপূর্ব চৌধুরী দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া লাতিন আমেরিকার দেশগুলি ওই প্রকল্পে ধান চাষ সফল হয়েছে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৪ ০২:১৭
Share:

কোচবিহারে চরকের কুঠি গ্রামে হিমাংশুরঞ্জন দেবের তোলা ছবি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রকল্পে এ বার নতুন পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ শুরু হল উত্তরবঙ্গে। পরীক্ষামূলক ভাবে মালদহ ও কোচবিহারে ১০০ বিঘা জমিতে ওই ধান চাষ করা হচ্ছে। চাষ সফল হলে আগামী বছর থেকে ব্যাপক হারে ওই চাষে নামার কথা ভাবছে কৃষি দফতর।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং ওই প্রকল্পের রাজ্যের সাইট কো-অর্ডিনেটর অপূর্ব চৌধুরী দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়া ছাড়া লাতিন আমেরিকার দেশগুলি ওই প্রকল্পে ধান চাষ সফল হয়েছে। ভারতে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় এ প্রকল্পে ধান চাষে সফল হয়েছে। এই প্রকল্পে ধান চাষে বেশ কিছু সুবিধে রয়েছে। যেখানে সাধারণ ভাবে ধান চাষে তিন থেকে চারটি চাষ দিতে হয়, সেখানে এই প্রকল্পে হালকা ভাবে একটি চাষ দিলেই হবে। তার আগে জমিতে ঘাস মরে যাওয়ার জন্য ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তাতে জমির ক্ষতি হবে না। জমিতে যে সব উপকারী জীবাণু থাকে সেগুলি নষ্ট হবে না।

অপূর্ববাবু বলেন, “আশা করছি চাষে সফল হব। এই চাষে এক দিকে কৃষকদের চাষের খরচ বেঁচে যাবে ও জমির স্বাস্থ্য রক্ষাও হবে। ফলন কোনও ভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে ফলন বাড়বে বলেই আমরা আশা করছি।” কোচবিহারের চরকের কুঠির কৃষক পরিমল বর্মন এক বিঘা জমিতে ওই পদ্ধতিতে ধান চাষ করছেন। তিনি বলেন, “আমি চার বিঘার এক বিঘায় নতুন পদ্ধতিতে ও তিন বিঘা পুরনো পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছি। পুরনো পদ্ধতিতে জমি চাষের উপযোগী করতে দুই হাজার টাকার বেশি চলে যায়। নতুন পদ্ধতিতে ৫০০ টাকার মধ্যে ওই কাজ শেষ হয়। তাতে কিছুটা লাভ হবে বলে আশা করছি।” তিনি জানান, এক বিঘায় ১০-১৫ মন ধান হয়। নতুন পদ্ধতিতে পরিমাণ বাড়বে।

Advertisement

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, কোচবিহারে সাধারণ ভাবে ২ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। প্রতি হেক্টরে আড়াই টন ধান উৎপন্ন হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই কৃষকদের খরচ কমিয়ে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর গবেষণা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে। এ বারে আমন ধানের মরসুমে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার প্রকল্পে চাষ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় কোচবিহার ও মালদহে ১০০ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করা হয়। এ বারে কৃষি দফতর থেকে সমস্ত রকম সার দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের কৃষি আধিকারিক রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে নতুন পদ্ধতিতে ধান চাষ সফল হবে বলেই আশা করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন