রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি না হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়েছে। সম্প্রতি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রায়গঞ্জে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে জেলা কংগ্রেস কমিটিকে টানা আন্দোলনে নির্দেশ দেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি, সিপিএমের মতো দলও। এই পরিস্থিতিতে গোটা জেলায় দল নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরূপ মনোভাবের আশঙ্কায় এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করার দাবিতে সর্বদল কমিটিতে তৃণমূলও সামিল হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকায় সর্বদল বৈঠকের ডাক দেয় পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স। বৈঠকেই হাজির হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি না হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভাবে দলের বিপক্ষে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেই এ দিন বৈঠকে যান তৃণমূল নেতারা। বিষয়টি নিয়ে যে তাঁদের আন্দোলন করতে আপত্তি নেই তা-ও স্পষ্ট করে দেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পরিষদীয় সচিব সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, “তৃণমূল রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির বিরোধী নয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচারমূলক রাজনীতি হচ্ছে। চাষিরা জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার আবেদন জানালে, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আগেই জানিয়েছেন।” এদিন সন্ধ্যায় সর্বদল বৈঠকের ডাক দেয় চেম্বার অব কমার্স। বৈঠকে হাজির ছিলেন রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি ত রায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় সহ দুই কাউন্সিলর বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রতন মজুমদার। ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ, রায়গঞ্জ শহর কংগ্রেস সভাপতি রণজকুমার দাস, জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বীরেশ্বর লাহিড়ি, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ ঘোষ-সহ সিপিআই, এসইউসি নেতারা। তবে বিজেপি বৈঠকে যোগ দেয়নি। সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় বৈঠকে যেতে পারিনি। এইমস নিয়ে সমস্ত আন্দোলনে বা মঞ্চে আমরা আছি।”