কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ চাঁচলে

ভোটের দিনের বিবাদকে ঘিরে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের হামলা ও পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদহের কালিয়াচক থানার কাঠালবাড়ি এলাকা। বৃহস্পতি বার দুপুরে দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় মুড়িমুড়কির মত বোমাবাজির পাশাপাশি গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয়েছে ৬টি বাড়িও। জখম হয়েছেন দুই পক্ষের ১০ জন। পুলিশ ওই ঘটনায় দুপক্ষের ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় কমব্যাট ফোর্স ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

ভোটের দিনের বিবাদকে ঘিরে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের হামলা ও পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদহের কালিয়াচক থানার কাঠালবাড়ি এলাকা। বৃহস্পতি বার দুপুরে দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় মুড়িমুড়কির মত বোমাবাজির পাশাপাশি গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয়েছে ৬টি বাড়িও। জখম হয়েছেন দুই পক্ষের ১০ জন। পুলিশ ওই ঘটনায় দুপক্ষের ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় কমব্যাট ফোর্স ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। দুই তরফই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনি টহল দিচ্ছে।”

Advertisement

ভোট পরবর্তী গোলমালে ভোটের পর দিন মানিকচকের লস্করপুরে চায়ের দোকানে হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূলের এক নির্বাচনী এজেন্টের। সিপিএম ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আবার ওই রাতে বৈষ্ণবনগর চন্দ্রনারায়ণপুরে দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি, ভাঙচুর-সহ লুঠপাটের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এক দিন বাদেই বৈষ্ণবনগরের শবদলপুরেও গোলমাল হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ভোটের দিন বুথ দখল ঘিরে কাঠালবাড়ি এলাকায় কংগ্রেস-তৃণমূলের গন্ডগোল উত্তেজনা ছড়ায়। ওই দিন উত্তেজনা ছড়ালেও বড় ঘটনা ঘটেনি। তবে উত্তেজনা ছিল। অভিযোগ, এদিন দুপুরে বোমাবাজির শব্দে কেঁপে ওঠে কাঠালবাড়ি এলাকা। দুই পক্ষই একে অন্যকে লক্ষ করে বোমাবাজি করতে থাকে। ঘণ্টা খানেক ধরে দুই পক্ষে অন্তত শ’দেড়েক বোমাবাজি করা হয়। পাশাপাশি, শূন্যে গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমাবাজির কথা স্বীকার করলেও গুলি চালানোর কথা পুলিশ জানে না বলে জানিয়েছে। বোমার টুকরোয় কয়েক জন সামান্য আহত হয়েছে। দুই তৃণমূল কর্মী রফিক শেখ ও মণিরুল শেখকে মারধর করে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। তৃণমূলের নালিশ, ভোটের দিন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের কাঠালবাড়ি বুথ দখলের পরিকল্পনা বানচাল করে দেওয়া হয়। সেই থেকেই গোলমাল চলছে। এ দিনও তৃণমূল কর্মীরা একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় তাঁদের লক্ষ করে বোমা পড়তে থাকে। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্রের অভিযোগ, “নির্বাচনের দিন থেকে কংগ্রেস সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্মীদের লক্ষ করে বোমাবাজি করা হয়েছে।” কালিয়াচক ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমানের দাবি, “ভোটের দিন তৃণমূল বুথ দখল করার চেষ্টা করায় রিন্টু শেখ-সহ কয়েকজন কর্মী বাধা দেয়। এ দিন আড্ডা দেওয়ার সময় তাঁদের লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন