কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর তৃণমূলে

শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর রামকুমার অগ্রবাল তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার শিলিগুড়িতে হিলকার্ট রোডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তাঁরা দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন। নতুন যোগদানকারীদের মধ্যে কংগ্রেসের প্রীতি গুপ্ত এবং বিজেপির প্রদীপ গোয়েল রয়েছেন। মাস চারেক আগে প্রদীপ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০২:০৪
Share:

পতাকা তুলে দিলেন মন্ত্রী।

শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর রামকুমার অগ্রবাল তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার শিলিগুড়িতে হিলকার্ট রোডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তাঁরা দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন। নতুন যোগদানকারীদের মধ্যে কংগ্রেসের প্রীতি গুপ্ত এবং বিজেপির প্রদীপ গোয়েল রয়েছেন। মাস চারেক আগে প্রদীপ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান। ফের দলবদল করলেন তিনি। এ ছাড়াও আরও প্রায় শতাধিক কর্মী কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয় জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতমবাবু বলেন, “রামকুমারবাবু ও প্রীতিদেবীর সঙ্গে আগে কাজ করেছি। বিশেষ করে রামকুমারবাবুর সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক। একসঙ্গে কাজ করতে পারলে ভাল লাগবে।” তবে এঁদের মধ্যেই কাউকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে কিনা সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি জেলা সভাপতি। তিনি জানান, দু-একদিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকার খসড়া ঠিক করে রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হবে। দলে যোগ দিয়ে রামকুমারবাবু বলেন, “কংগ্রেসে কাজ করার পরিবেশ নেই। তাই তৃণমূলে উন্নয়নের কাজে সামিল হতে এই দলে যোগ দিলাম।” অন্যদিকে প্রদীপবাবু বিজেপির দলীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisement

দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকারের দাবি, “রামকুমারবাবু ও প্রীতিদেবী, গত ১০ বছর দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। বহুদিন ধরেই কংগ্রেসের হয়ে কোনও কাজ করছেন না। ফলে তাঁদের দলে থাকা আর না থাকার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।” বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসুও এক কর্মীর বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার পিছনে দলে সুবিধা করতে না পারাকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, “বিজেপিতে তাঁদের ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি না হওয়াতেই দল ছেড়েছেন। চার মাসে উনি বিজেপির কোনও কাজে আসেননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন