কেন্দ্রের জমি নীতির বিরুদ্ধে প্রতিলিপি পুড়িয়ে আন্দোলন

কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে উত্তরবঙ্গেও আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল। অর্ডিন্যান্সের প্রতিলিপি পুড়িয়ে এ দিন উত্তরবঙ্গে প্রতিবাদ করেছে শাসক দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০৭
Share:

শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ তৃণমূলের। —নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে উত্তরবঙ্গেও আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল। অর্ডিন্যান্সের প্রতিলিপি পুড়িয়ে এ দিন উত্তরবঙ্গে প্রতিবাদ করেছে শাসক দল।

Advertisement

এ দিন দুপুরে শিলিগুড়ির হাসমিচকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল। অর্ডিন্যান্সের প্রতিলিপি পোড়ানোর সঙ্গে, দিল্লির সরকার বিরোধী স্লোগানও দেয় তৃণমূল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির নেতারা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “দিল্লির সরকার কৃষক বা সাধারণ বাসিন্দাদের স্বার্থ দেখছে না। পুঁজিপতিরাই তাদের কাছে সব। বিজেপি সরকারের এই মুখ ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে। এর বিরুদ্দে উত্তরবঙ্গ জুড়েই লাগাতর আন্দোলন চলবে।”

আন্দোলন হয়েছে উত্তর দিনাজপুরেও।এ দিন দুপুরে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের নেতৃত্বে দলের শতাধিক কর্মী সমর্থক রায়গঞ্জের এফসিআই মোড় সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে অর্ডিন্যান্স আইনের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে ওই আন্দোলন চলার পর অমলবাবুর নির্দেশে দলের কর্মী সমর্থকেরা অবরোধ তুলে নেন। অমলবাবু বলেন, “গত ২৯ ডিসেম্বর বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে জোর করে সংসদে জন ও কৃষক স্বার্থ বিরোধী জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স আইন পাশ করে তা কার্যকরী করেছে। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই অর্ডিন্যান্স আইন বাতিলের দাবিতে এদিন থেকে জেলা জুড়ে ধারাবাহিক আন্দোলনে নামা হল।”

Advertisement

বিজেপির জেলা সম্পাদক শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, “দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংসদে নয়া জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স আইন পাশ করে তা কার্যকরী করেছেন। গত প্রায় এক দশক ধরে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নানা জটের কারণে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ সহ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। নয়া জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স আইন বাস্তবে কার্যকরী হলে দেশের উন্নয়ন হবে। সারদাকাণ্ড থেকে বাসিন্দাদের নজর ঘোরাতে তৃণমূল নাটক শুরু করেছে।”

এ দিন ওই আন্দোলনের আগে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমলবাবু রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের ১৬ সদস্যের নতুন জেলা কমিটি সহ ৭টি ব্লক ও দুটি শহর কমিটির সদস্য ও পদাধিকারী নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। অমলবাবু বলেন “সব নতুন কমিটিতেই বিদায়ী কমিটির পুরনো সদস্য ও পদাধিকারি নেতাদের রেখে দলের যোগ্য ব্যক্তিদের সদস্য করা হয়েছে। শুধুমাত্র দলের হেমতাবাদ ও রায়গঞ্জ ব্লকের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় দত্ত ও সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী জেলা পরিষদের সহকারি সভাপতি পূর্ণেন্দু দে। বিদায়ী দুটি কমিটির সভাপতি রজত ঘোষ ও সন্দীপ রাহাকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement