ক্লাসঘর নেই, পড়াশোনা ব্যহত সুরেন্দ্রনাথ কলেজে

গত কয়েক বছরে নানা পরিবর্তন দেখেছে রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। যেমন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজের পরিচালনার ভার চলে গিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। ছাত্র সংসদের দখল এসএফআই এর থেকে কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু, এতসবের পরেও কলেজের পরিকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ কলেজের শিক্ষক-পড়ুয়াদের একাংশের।

Advertisement

অভ্রনীল রায়

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০২
Share:

গত কয়েক বছরে নানা পরিবর্তন দেখেছে রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। যেমন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজের পরিচালনার ভার চলে গিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। ছাত্র সংসদের দখল এসএফআই এর থেকে কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কিন্তু, এতসবের পরেও কলেজের পরিকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ কলেজের শিক্ষক-পড়ুয়াদের একাংশের। ফি বছরে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়লেও, ক্লাসঘরের সংখ্যা বাড়েনি। যার জেরে ক্লাসঘরগুলিতে পড়ুয়াদের স্থান সঙ্কুলান হয়না বলে অভিযোগ। সমস্যা রয়েছে শিক্ষকেরও। কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত নীতি অনুযায়ী যতজন শিক্ষক থাকার কথা, কলেজে তা নেই। পরিকাঠামোর অভাবে চাহিদা থাকলেও অ্যাকাউন্টেন্সি সহ বেশ কিছু পাঠক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে কলেজ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর রায় বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলির সমাধান করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

Advertisement

পঠনপাঠন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার মতো পরিকাঠামোগত সমস্যা নেই বলে কলেজ সূত্রে দাবি করা হলেও, এর জেরে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষকদের একাংশই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথা ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী কলেজের কোনও সাম্মানিক পাঠক্রম চালাতে গেলে, সেই বিষয়ে নূ্যনতম ৪ জন স্থায়ী শিক্ষক প্রয়োজন হয়। যদিও সুরেন্দ্রনাথ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিদ্যা, অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মাত্র একজন করে স্থায়ী শিক্ষক রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কলেজে মোট শিক্ষক পদের সংখ্যা ২১। এর মধ্যে বর্তমানে ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। কলেজের শিক্ষকদের একাংশের দাবি, গত দেড় দশকে কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। ফলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও, শিক্ষকদের সংখ্যা না বাড়ায়, অনুপাতে ভারসাম্য নেই বলে জানানো হয়েছে।

বর্তমানে কলেজের ছাত্র সংসদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখর মণ্ডল বলেন, “সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। কলেজের ভবন সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ।” ছাত্র সংসদের দাবি, ভোট পর্ব মিটে গেলে ভূগোল সহ কয়েকটি বিষয়ে পাঠক্রম চালুর দাবি জানানো হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আদে কলেজের ছাত্র সংসদ দীর্ঘদিন ধরে এসএফআইয়ের দখলে ছিল। ছাত্র সংসদের প্রাত্তন সম্পাদক তথা এসএফআই নেতা গৌরব সাহা দাবি করে বলেন, “ছাত্র সংসদের দায়িত্বে থাকার সময়ে একাধিকবার নানা পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানিয়েছি। যদিও সে দাবিগুলি পূরণ হয়নি।” পরিচালন সমিতি দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন