উত্তরপূর্ব ভারত থেকে বয়ে আসা হাওয়ার জেরে তৈরি হওয়া ঘন কুয়াশার কারণে রাজ্য জুড়ে শৈত্যপ্রবাহের জের পড়ল উত্তরবঙ্গেও। এর ফলে সময়সূচিতে বিঘ্ন ঘটেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এলাকার ট্রেন চলাচলে। প্রভাব পড়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উড়ানেও। বাতিলের খবর না থাকলেও বহু ট্রেন অস্বাভাবিক দেরিতে চলেছে। বহু দূরপাল্লার ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল কুয়াশার কারণে। পরে কুয়াশা কেটে গেলে দেরিতে স্টেশন ছাড়ে ট্রেনগুলি। কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি থেকে আসা ট্রেনগুলির অনেকগুলিই দেরিতে চলেছে। বিশেষ করে দিল্লি থেকে আসা ট্রেনগুলি দেরি হয়েছে বেশি বলে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশন সূত্রে জানানো হয়েছে। দিল্লি থেকে আসা বা দিল্লি হয়ে ওড়া বিমানগুলিও কুয়াশার কারণে নির্ধারিত সময়ে উড়তে না পারায় সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে বাগডোগরা বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে।
গত দু’দিন ধরেই উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুয়াশায় ঢেকেছে বিভিন্ন এলাকা। স্টেশন সূত্রের খবর, শিয়ালদহ-এনজেপি পদাতিক এক্সপ্রেস রবিবার দেড় ঘন্টা দেরিতে ঢুকেছে। উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস দু’ঘন্টা, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এনজেপিতে ঢুকেছে প্রায় ঘন্টাখানেক দেরিতে। দিল্লি থেকে আসা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস তিন ঘন্টা দেরিতে এনজেপি স্টেশনে ঢোকে। এনজেপি থেকে মালদহ টাউন যাওয়ার প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় তিন ঘন্টা দেরিতে মালদহ পৌঁছায় বলে জানা গিয়েছে। দেরিতে চলাচল করেছে এনজেপি-বালুরঘাট প্যাসেঞ্জার, হাওড়া থেকে আসা সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মুম্বই থেকে গুয়াহাটি দাদর এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেসও কয়েক ঘন্টা দেরিতে চলেছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের এরিয়া ম্যানেজার পার্থ সারথি শীল বলেন, “কুয়াশার কারণে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলেছে। তবে বাতিলের কোনও খবর নেই।” হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা এবং গুয়াহাটির থেকে ছাড়া আরও বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের দেরিতে চলছে।
বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে যে সমস্ত উড়ানগুলি ছাড়ার কথা সেগুলি সময় মতই ছেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে যে বিমানগুলি দিল্লি থেকে বা দিল্লি হয়ে এসেছে সেগুলি এক ঘন্টা থেকে তিন ঘন্টা পর্যন্ত দেরিতে আসায় সেগুলি ফিরে যেতে দেরি হয়েছে। মূলত জেট এয়ারওয়েজের উড়ানে দেরি হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, “কয়েকটি উড়ানের সূচিতে বদল হয়েছে। তবে একটিও উড়ান বাতিল হয়নি।”