গাফিলতিটা কার, তদন্ত

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ থেকে বন্দি পালানোর ঘটনায় কার গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জগমোহন ওই নির্দেশ দেন। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান প্রিজন সেলের দায়িত্বে থাকা এএসআই-এর কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৪ ০১:৪২
Share:

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ থেকে বন্দি পালানোর ঘটনায় কার গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জগমোহন ওই নির্দেশ দেন। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান প্রিজন সেলের দায়িত্বে থাকা এএসআই-এর কাছে। ওই বন্দি সত্যিই অসুস্থ ছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন কমিশনার। তিনি বলেন, “ওই বন্দি গুরুতর অসুস্থ হওয়ার নাটক করছিল। তবু কী ভাবে পালিয়ে গেল তার জবাবদিহি চেয়েছি। গাফিলতি প্রমাণ হলে অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৪ মে মানিক বর্মন নামে ওই ব্যক্তিকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার সঙ্গে অন্য রোগের উপসর্গ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকের বাড়ি কোচবিহারের শীতলখুচিতে। তার নামে কোচবিহার ও ডুয়ার্সের একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ফালাকাটা, দিনহাটা, আলিপুরদুয়ার ও ধূপগুড়ি থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। চুরি, প্রতারণা, কর্মীদের মারধর, ছিনতাই-সহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করার পর আলিপুরদুয়ার সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানে অসুস্থতার কারণে শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারের মাধ্যমে তাকে উঃবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সুপার অমরেন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘প্রথমে সেলে রাখা হলেও ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজনে ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। সেখান থেকেই ওই ব্যক্তি সোমবার রাতে পালিয়েছে। ওয়ার্ডে যারা ওই বন্দিকে নজরে রাখেন সেই পুলিশ পোশাক পরে না থাকায় সমস্যা হয়।” তবে সোমবার ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাঁদের সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে গত ৪ মে ওই বন্দি এসেছিল। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বন্দি পালানোর বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।” প্রিজন সেল থেকে পুরুষ মেডিসিনে পাঠানোর ব্যপারে জেল সুপারকে জানানো হয়।

সোমবার রাত ৯ টার পরে পুরুষ মেডিসিন বিভাগ থেকে রক্ষীদের অসতর্কতার সুযোগে পালিয়ে যায় মানিক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার জন কনস্টেবল, এক এএসআই প্রিজন সেলের দায়িত্বে রয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন