সমন্বয় বৈঠক ত্যাগ মোর্চার

গুরুত্বই দিচ্ছে না জোট-সঙ্গী বিজেপি, অভিযোগ

বিজেপি নেতারা যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে দশ মিনিটেই সমন্বয় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের শোভাগঞ্জে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য সমন্বয় বৈঠক ডাকে দলের জেলা নেতৃত্ব। জোট সঙ্গী মোর্চা নেতাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী বীরেন্দ্র বরা ওরাওঁ, আদিবাসী নেতা জন বার্লা প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০১:২৪
Share:

বিজেপি নেতারা যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন না, এই অভিযোগ তুলে দশ মিনিটেই সমন্বয় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের শোভাগঞ্জে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে লোকসভা ভোটে প্রচারের জন্য সমন্বয় বৈঠক ডাকে দলের জেলা নেতৃত্ব। জোট সঙ্গী মোর্চা নেতাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী বীরেন্দ্র বরা ওরাওঁ, আদিবাসী নেতা জন বার্লা প্রমুখ। কালচিনি ব্লকের মোর্চা নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও বৈঠক শুরুর দশ মিনিটের মাথায় তাঁরা ক্ষোভ জানিয়ে বেরিয়ে যান।

Advertisement

মোর্চা নেতাদের অভিযোগ, এদিন বৈঠক শুরুর আগেই বিজেপির তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থীর পরিচয় করানো হয়। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তাদের আপত্তি ছিল, কিন্তু বৈঠকের আগেই সাংবাদিকদের সামনে বিবৃতি দিয়ে দেওয়ায় সে আপত্তি তোলার সুযোগ ছিল না। তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন মোর্চা নেতারা। কালচিনির মোর্চা নেতা অশোক লামা, নেপাল বর্মনরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রকাশ্যেই গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য অশোকবাবু অভিযোগ করে বলেন, “বৈঠকে আলোচনার আগে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন বিজেপি নেতারা। তবে আর বৈঠকের কী প্রয়োজন ছিল। তা ছাড়া সেখানে সবার বসার ব্যবস্থাও করা হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন বিজেপি নেতারা। সে কারণেই আমাদের কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।”

মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোর্চার স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থী ঘোষণার আগে বিজেপির তরফে আলোচনা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় নেতারা। এ দিনের ঘটনার পরে কালচিনিতে বিজেপির সঙ্গে মোর্চা নেতারা প্রচার চালাবেন কিনা তা নিয়েও দলের অন্দরে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গুণধর দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এই নিয়ে আলোচনার জন্য মোর্চার তিন নেতাকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ওরা অনেকে এসেছিলেন। বসার জায়গা না থাকায় ওদের অধিকাংশ চলে যান।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন