গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ, সিদ্ধান্ত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ মেনে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং মালবাজার পুর এলাকা এবং ধূপগুড়িতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ০২:০১
Share:

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ মেনে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং মালবাজার পুর এলাকা এবং ধূপগুড়িতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পঞ্জাবে একটি মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লির ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের প্রিন্সিপ্যাল বেঞ্চ দেশের বিভিন্ন শহর এলাকার ক্ষেত্রেই ওই নির্দেশ দেয়। বিষয়টি নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবের দফতরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ), হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, আসানসোল এবং দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং এসজেডিএ এলাকার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি সংস্থা ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করবে।

এসজেডিএ’র অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুর এলাকা, জলপাইগুড়ি এবং মালবাজার পুর এলাকার জন্য ওই পরিকল্পনা করা হবে। সেই সঙ্গে এসজেডিএ’র অধীনে না থাকলেও ধূপগুড়ি পুরসভার ক্ষেত্রেও ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মনমতচ্রী তথা এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান গৌতম দেব জানান, এ দিন বোর্ড মিটিংয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৈরির জন্য। এসজেডিএ-র পুরো বিষয়টি তদারকি করবে। রাজ্য সরকার বা এসজেডিএ-র তরফে প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে কাজ করা হবে।

Advertisement

অন্য দিকে এসজেডিএ’র বোর্ড সভায় আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাওয়াখালি উপনগরী প্রকল্পে অনিচ্ছুক জমির মালিকদের এবং হরিচাঁদ হাটের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কারা জমি পাবে তা দেখতে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে হাট কমিটি এবং ৫১ জনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। ওই কমিটি খতিয়ে দেখে হাট কমিটি এবং আরও ৪৩ জনের জমি ছিল বলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেয়েছে। বাকি ৮ জনের ক্ষেত্রে তাদের দাবির বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি।

এসজেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় ড্রাইপোর্ট-এর ভিতরে রেলের লাইন বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই প্রকল্পে ২০ কোটি টাকা খরচ হবে। বাগডোগরার যে প্যারিসেবল কার্গো তৈরি হয়েছে তা চালু এবং দেখভালের জন্য উপযুরক্ত সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। আগের যে সংস্থার দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল তারা ওই কাজ করবে না বলে জানিয়েছে। পাসপোর্ট অথরিটি’র জন্য শিলিগুড়ির হিমাচলবিহার এলাকায় ৪৩৭২ বর্গফুট জায়গা এসজেডিএ’র তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসে ৭২ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ওই জায়গা কর্তৃপক্ষ নেবেন কি না তা শীঘ্রই চূড়ান্ত করে জানানোর কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement