গাড়ির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে সেবক রোডে দুর্ঘটনা হয়নি বলে আদালতে জানাল পুলিশ।
গত ১৮ নভেম্বর রাতে সেবক রোডে একটি বিলাসবহুল গাড়ির সঙ্গে বাইকের দুর্ঘটনা হয়। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে বাইক আরোহী দুই ভাই। দু’জনেই গুরুতর জখম হন। জখমদের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কুমার থাপা নামে ওই গাড়ির চালকও আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন নেন। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেরই দাবি, দুর্ঘটনার সময়ে সেই ব্যক্তি গাড়ি চালাচ্ছিলেন কিনা তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
গত মাসের শেষে পুলিশের তরফে দুর্ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সে রিপোর্টে গাড়ির কোনও যন্ত্রাংশের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা হয়নি বলে দাবি করা হয়। এরপরেই গত ১ ডিসেম্বর আবেদনের ভিত্তিতে গাড়িটিকে মালিকের হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। গাড়ির মালিকের আইনজীবী জয়জিৎ চৌধুরী বলেন, “আদালতের নির্দেশে পুলিশ গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। গাড়ির চালকও আত্মসর্মপণ করে জামিন নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদালতকে জানানো হয়েছে।”
এ দিন শুক্রবারও দুর্ঘটনায় মামলায় গাড়ির চালক কুমার থাপা আদালতে হাজিরা দেন। আইনজীবী জয়জিৎবাবু জানিয়েছে, গাড়ির চালক এ দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে সই করে গিয়েছেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার চার্জশিটে বিস্তারিত উল্লেখ্য করা হবে।
এ দিকে সেবক রোডের দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা সুভাষ ভট্টাচার্যের দুই ছেলে স্নেহাশিস এবং শৌভক জখম হয়। শৌভিকের ডান পায়ের একটি আঙ্গুলও কেটে বাদ দিতে হয়। স্নেহাশিসের চোয়াল সহ মুখের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যায় বলে জানানো হয়। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’দফায় তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই স্নেহাশিসকে নিয়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ই ফিরেছেন সুভাষবাবু।