ঘিঞ্জি বাজারে আগুন-আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

আগুন লেগে গেলে নেভানোর মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়নি আলিপুরদুয়ার জংশন রেল বাজারে। দাহ্য পদার্থে ভর্তি কালীবাড়ি এলাকার ওই বাজারে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আগুন লাগলে তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৪ ০১:৩০
Share:

আগুন লেগে গেলে নেভানোর মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়নি আলিপুরদুয়ার জংশন রেল বাজারে। দাহ্য পদার্থে ভর্তি কালীবাড়ি এলাকার ওই বাজারে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আগুন লাগলে তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

Advertisement

দমকল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে রেল বাজারের নিউ মার্কেট এলাকায় আগুন লেগেছিল। সেই আগুনে সেখানকার ৫০-৬০টি দোকান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বাজার এলাকায় রেলের নিজস্ব দমকল বাহিনী থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়ে ছিল। বছর দশেক আগে দমকল কেন্দ্রটি উঠে যায়। পরে দমকল স্টেশনের জলাধারটিও সংস্কার না হওয়ায় ধীরে ধীরে বুজে গিয়েছে।

বাজারের ওই অংশে জেনারেটের জন্য মজুত ডিজেল, কাপড়ের দোকান, পুরোনো কাঠের দোকান রয়েছে। তার উপরে দোকানঘরগুলিও কাঠের তৈরি। তাই আগুন লাগলে তা দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। রেল বাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তুষার ঘোষ বলেন, “কালী মন্দির এলাকায় মূলত জামা-কাপড় ও মনিহারি জিনিসের দোকান রয়েছে। সব ক’টি দোকান কাঠের তৈরি। সেই গলিতে দমকলের গাড়িই ঢুকবে না। তাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।” আলিপুরদুয়ার দমকল বিভাগে ওসি প্রদীপ সরকার বলেন, “জংশন রেল বাজার বর্তমানে জতুগৃহ। সেখানে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টসাধ্য। কালীমন্দির এলাকায় দু’শো দোকান রয়েছে। সেখানে দমকলের গাড়ি ঢোকার পরিকাঠামো নেই। জল শেষ হলে কাছেপিঠে জলাধার নেই। তাই রেলের বন্ধ হয়ে যাওয়া দমকল বাহিনীর জলাধার সংস্কার করার আর্জি জানিয়ে রেল কর্তাদের চিঠি দিয়েছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement