ছিট বিনিময়ের বিরোধিতা করে বিক্ষোভের মুখে

ছিটমহল বিনিময়ের বিরোধিতা করার অভিযোগে ছিটমহলেরই ৩ বাসিন্দাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নিউ কোচবিহার স্টেশনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি ছিটমহলেরএবং এক জন ভারতীয় ছিটের বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৫
Share:

ছিটমহল বিনিময়ের বিরোধিতা করার অভিযোগে ছিটমহলেরই ৩ বাসিন্দাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নিউ কোচবিহার স্টেশনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি ছিটমহলেরএবং এক জন ভারতীয় ছিটের বাসিন্দা।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছিটমহল বিনিময় নিয়ে দুই দেশের সরকার উদ্যোগী হয়েছে, সেই সময় ওই ৩ জন কলকাতায় গিয়ে তার বিরোধিতা করে এসেছে। কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, ওই ৩ জনকে শুধু মারধর নয়, পুলিশ আটকেও রেখেছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “৩ জনকে আটক করে তাদের ঠিকানা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

কলকাতার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই ৩ জন তাঁদের ডাকেই কলকাতা যান। সংগঠনের পক্ষে কিরীটী রায় বলেন, “আমাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে ছিটমহলের বেশির ভাগ মানুষ নাগরিক স্বীকৃতি চান। সরকার তার বদলে ছিটমহল বিনিময়ের কথা বলছে। স্থানীয় মানুষের মতামত নেওয়া হচ্ছে না। এ কথাই বলতে এসেছিলেন ছিটমহলের দুই বাসিন্দা।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ৩ জন এ দিন কলকাতা থেকে ফিরছেন শুনে ছিটমহলের কয়েকশ বাসিন্দা জড়ো হন নিউ কোচবিহার স্টেশনে। পুলিশিও যায়। এর মধ্যেই সাড়ে ১০টা নাগাদ ট্রেন থেকে নামতেই ওই ৩ জনের উপর ছিটের বাসিন্দারা চড়াও হন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “মানুষের কষ্টকর লড়াইয়ের ফলে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে দুই দেশ যখন অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে, সেই সময় কায়েমি স্বার্থে কিছু মানুষ তা বানচাল করার চেষ্টা করছে। তাদের বিশ্বাসঘাতকতায় ছিটমহলের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তাঁরা ওই ৩ জনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান, কাউকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন