ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের হস্টেলগুলিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। ‘হস্টেল যার, ছাত্র সংসদ তার’ এমন কথা প্রচলিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে। সে কারণে হস্টেল দখল নিতে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৫৭
Share:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের হস্টেলগুলিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। ‘হস্টেল যার, ছাত্র সংসদ তার’ এমন কথা প্রচলিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে। সে কারণে হস্টেল দখল নিতে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। পুলিশে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। তবে ‘নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। এক পুলিশকর্তার দাবি, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার ছাত্র পরিষদের এক প্রার্থীকে শিবমন্দির এলাকায় তাঁর মেস থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা তুলে নেয় বলে অভিযোগ। ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট সলিডারিটি সংগঠনের অপর এক ছাত্র তথা প্রার্থীকেও তারা তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ করা হয়।

পরিস্থিতি আঁচ করে রাত ৯ টার পর হস্টেলের গেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হস্টেলের নিরাপত্তা বিভাগ। তার আগেই ছাত্রছাত্রীদের হস্টেলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ছাত্র পরিষদের নেতারা জানান, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন হস্টেলে গিয়ে হুমকি, তাদের প্রার্থী-সদস্যদের তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে নির্বাচন পর্ব না মেটা পর্যন্ত তাঁদের সংগঠনের ছাত্রছাত্রী সমর্থকদের বেলা সাড়ে ৪টার পর হস্টেল ছেড়ে বার হতে নিষেধ করেছেন। বিশেষ করে শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সদস্য-সমধর্থকদের সন্ধ্যার পর হস্টেল থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement

ছাত্র সংসদের নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগও। মাটিগাড়া থানার কয়েকজন পুলিশ অধিকারিক জানান, তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। মনোনয়ন জমা করার আগের দিন রাতে হস্টেলে গোলমাল মেটাতে গভীর রাত পর্যন্ত থাকতে হয়েছে তাঁদের। তা ছাড়া ছাত্রী হস্টেলের কিছু হলে পুলিশকে দায়ী করা হবে। তাই আগাম সতর্ক হতে চান তাঁরা। গোলমালের আশঙ্কায় সব সময় সজাগ থাকতে হচ্ছে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীদেরও। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একজন সদস্য, সমর্থক সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কলা বিভাগের সামনে ল মোড়ে জড়ো হয়ে থাকছেন বলে অভিযোগ। ছাত্র পরিষদের নেতা মুক্তিনাথ শর্মা বলেন, “হস্টেলের ছাত্রদের সন্ধ্যার পর বার হতে নিষেধ করেছি। এখন তাই বাইরের মেসে আমাদের যে ছাত্ররা রয়েছে তাদের হুমকি দিচ্ছে, তুলে নিয়ে যাচ্ছে।”

টিএমসিপির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্বে থাকা নেতা পঙ্কজ সিংহ বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরা ক্যাম্পাসে হিংসায় বিশ্বাসী নই। সারা বছর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে থাকি। তাঁরাও সঙ্গে আছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন