জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা রুখতে হবে সিগন্যাল

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে আট জনের মৃত্যুর পর জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনা রুখতে দ্রুত জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করবে। তারপরই সেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় দ্রুত সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৪ ০৪:৪৪
Share:

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে আট জনের মৃত্যুর পর জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনা রুখতে দ্রুত জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করে দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করবে। তারপরই সেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় দ্রুত সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হবে। শুক্রবার বিকেলে জেলাশাসকের দফতরে জেলা পুলিশ সুপার, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী বলেন, “জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করবে। তার পরে ১০ দিনের মধ্যে সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে ওই সমস্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সিগন্যালের ব্যবস্থা করবেন। জাতীয় সড়কের যেখানে কাজ চলছে, সেই এলাকায় বড় সাইনবোর্ড লাগানোর পাশাপাশি ডিভাইডার লাগানোর জন্য জাতীয় সড়ক কতৃপর্ক্ষকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় প্রবণ এলাকায় যেখানে কাজ চলছে, সেখানে সবুজ ও লাল পতাকা নিয়ে কিছু লোক মোতায়েন করা হবে। তাঁরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবেন।

বৃহস্পতিবার চাঁচলগামী বাসের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় আট জনের মৃত্যু হয়েছিল ও জখম হয়েছিলেন ২৪ জন বাসের যাত্রী। যদিও দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ ট্রাকের চালককে ধরতে পারেনি। জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব জানান, ট্রাক চালককে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। মৃত আট জনের মধ্যে প্রথমে ছ’জনের পরিচয় জানা যায়। এ দিন বাকি দুই জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম জাহানুর বিবি (৩০), বাড়ি কালিয়াচকে ও উদয় পাল (২৭), বাড়ি চাঁচলে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ময়না পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর চলতি বছরই দুর্ঘটনায় ৪০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। একের পর দুর্ঘটনার পরেও জাতীয় সড়ক কতৃর্পক্ষ, পুলিশ এবং প্রশাসনের এতদিন কোন হেলদোল দেখায়নি বলে অভিযোগ ছিল। এর পরেই এ দিন সকলপক্ষকে নিয়ে যৌথ বৈঠক হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ জোনের প্রকল্প আধিকারিক মহম্মদ সইফুল্লা জানান, যেখানে রাস্তার কাজ হচ্ছে সেখানে সাইনবোর্ড দেওয়া আছে। কিন্তু তারপরেও দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সমস্ত দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে দেবে। সেখানে আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন