আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের জন্য অর্থ বরাদ্দে মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানানো হয়েছে বলে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মা জানিয়েছেন। শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পরে মোহনবাবু বলেন, “আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য এখনও কোনও বরাদ্দ আসেনি। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে টাকা দেওয়া, কর্মী নিয়োগের বিষয় জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন আজ থেকেই আলিপুরদুয়ারের জন্য অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে।”
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ গঠন হয়। বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারের জেলা পরিষদের বাংলোতেই তৈরি হয়েছে জেলা পরিষদের অফিস। সেখানে মাত্র দু’জন কর্মী রয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে বাবু পাড়া এলাকায় জেলাপরিষদের বাস্তুকারের দফতরের পাশে পরিষদের নতুন ভবন তৈরির জন্য মোহনবাবুরা একটি প্রকল্প জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, জেলা পরিষদে ৬৮ জন কর্মী থাকার কথা থাকলেও এখন মাত্র দু’জন করণিক রয়েছেন।
গত মাসে কুমারগ্রামে একটি শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ বিলি করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরে যাওয়ার সময় হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মা, সহ সভাধিপতি অতুল সুব্বা ও জেলাশাসক অ্যালিস ভাজদের নিয়ে জেলা পরিষদের পরিকাঠামো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর করেন বলে জানা গিয়েছে। যথাযথ পরিকাঠামো নেই শুনে জেলাশাসককে দ্রুত বিষয়গুলি দেখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাধিপতি মোহন শর্মা বলেন, “এ দিনের বৈঠক পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত মন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে এসে নতুন জেলা পরিষদের পরিকাঠামো দেখবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।”
কোচবিহারে জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও বরাদ্দ অর্থ দ্রুত খরচের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ আরআইডিএফ, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা এখনও খরচ করতে পারেননি। মার্চের মধ্যে ওই টাকা খরচ না হলে ফেরত যেতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। এ সব কথা জানার পরেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে সমস্ত প্রকল্পের বরাদ্দ দ্রুত খরচের নির্দেশ দেন। কী কারণে ওই টাকা খরচ করা যায়নি তা নিয়েও জানতে চান তিনি। প্রশাসনের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। দু’মাসের মধ্যে টাকা খরচ করা যাবে। কোচবিহারের জেলা সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, “কিছু টাকা পড়ে রয়েছে। তবে মার্চের মধ্যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ করা হবে।”