জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিপিএমের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ মাটিগাড়া এবং শিলিগুড়ি থেকে ওই চারজনকে ধরেছে। তিনদিন হেফাজতে রাখার পর আজ, শুক্রবার ফের ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ননীগোপাল রায়, ভবেন বমর্ন, ঘনশ্যাম পান্ডে এবং নৃপেন রায়। এরমধ্যে ননীগোপাল, ভবেন এবং ঘনশ্যামের বাড়ি মাটিগাড়ার পতিরামজোত এলাকায়। নৃপেণের বাড়ি শিলিগুড়ির কয়লাডিপো এলাকায়। নৃপেন ছাড়া বাকিদের চাষাবাদ এবং জমি রয়েছে। নৃপেণ আদালতে স্ট্যাম্প বিক্রির কাজ করেন।
শিলিগুড়ির পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার তপন আলো মিত্র বলেন, “গোপন সূত্রের জাল সার্টিফিকেট চক্রের খবর পেয়েছিলাম। সেইমত বেশ কিছুদিন ধরে তদন্ত চালিয়ে চারজনকে ধরা হয়েছে। শতাধিক জাল সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি কোথা থেকে ছাপা হয়েছিল, তা দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের হেফাজত থেকে স্কুল সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট, রেশন কার্ড, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের মত জাল সার্টিফিকেট মিলেছে। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, কালিম্পং, নাগরাকাটা, মেটেলি ছাড়া বিস্তীর্ণ এলাকায় স্কুল, দফতর, পুরসভা, পঞ্চায়েতের নামে ওই জাল সার্টিফিকেট ছাপানো হয়েছিল। ১ হাজার টাকা থেকে ১০ টাকার বিনিময়ে সেগুলি বিক্রি করা হত। পুলিশের দাবি, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ওই চক্রের হয়েই কাজ করছিলেন। যদিও বিষয়টিকে চক্রান্ত বলে দাবি করেছে সিপিএম। দলের জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার, “মনে হচ্ছে কোনও চক্রান্ত করে আমাদের ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা ওঁর আইনি ব্যবস্থা করব।”