সুনসান কালচিনি। বুধবার ছবিটি তুলেছেন নারায়ণ দে।
মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, বিচারাধীন বন্দি ধরম মাহালির মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তর দাবিতে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ডাকে ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হল কালচিনি ব্লকে। বন্ধের জেরে এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন এ দিন অনেকটাই ব্যাহত হয়। সকাল থেকে হাসিমারা, কালচিনি, হ্যামিলন্টন, আটিয়াবাড়ি গাড়োপাড়া এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় অটো বা যাত্রিবাহী গাড়ি চলাচল করেনি। তবে জাতীয় সড়ক, চা বাগান ও ট্রেন চলাচলকে বন্ধের আওতার বাইরে ছিল। আদিবাসী বিকাশ পরিষদ কালচিনি ব্লকের সম্পাদক ত্রিয়োফিল সোরেন বলেন, “মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, দোষী ব্যাক্তিদের শাস্তি, হতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ডাকা এ দিনের বন্ধ সফল হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ই জুন রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভুতরি জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে বনকর্মীদের হাতে ধরা পড়ে কালচিনি ব্লকের চুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ধরম মাহালি ও তার দুই সঙ্গী। অভিযোগ, তাঁরা এক বনকর্মীকে ভোজালি দিয়ে আঘাতও করেন। বুধবার সকালে আদালতে পেশ করা হলে ধৃত তিনজনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতদের নির্দেশ দেন বিচারক। ওইদিন সন্ধ্যায় তিনজনকে আলিপুরদুয়ারে বিশেষ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশোধনাগার সূত্রে জানা যায়, কারারক্ষীদের ধরম বলেন, বনকর্মীদের তাড়ায় পালাতে গিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বুকে আঘাত পেয়েছেন তিনি । পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ফের সংশোধনাগারে ফিরিয়ে আনা হয়। রাত ১১ টা নাগাদ বুকে ব্যাথা ও মুখ দিয়ে রক্ত বার হতে থাকলে তাঁকে আবার হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বিশেষ সেলে ভর্তি করানো হয়। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতালের সেলের মধ্যেই জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় ধরম মাহালির দেহ উদ্ধার হয়। ধরম মাহালির ছেলে অমরের অভিযোগ, বন কর্মীদের মারেই মৃত্যু হয়েছে তার বাবার। সংশোধনাগারে ও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়নি বলেও পরিবারের অভিযোগ। এ দাবি করেছেন কালচিনি ব্লক কংগ্রেস নেতা মোহন শর্মাও।
বিক্ষোভ। তৃণমূল কংগ্রেসের নামে ময়নাগুড়িতে দলীয় দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির যুব কর্মী ও সমর্থকরা। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ শহরের কদমতলায় যুব সংগঠনের জেলা সহ সভানেত্রী জুহি চৌধুরী জানান, বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপরে তৃণমূলের হামলা চলছে। ময়নাগুড়িতে দলীয় দফতর ভাঙার প্রতিবাদে আন্দোলন চলবে।