গত কয়েক মাসে শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে জঞ্জাল অপসারণ ও নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে তাঁর কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে বলে মন্তব্য করলেন পুরসভার মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সেই ওয়ার্ডগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি পরিদর্শন করবেন বলে জানান মুকুলবাবু। দ্রুত প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত বাঁশি বাজিয়ে ময়লা সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও আলাদা করে নজর দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি শুধু কথায় নয় কাজেও পরিণত করতে বুধবারই রাস্তায় নামতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন মুকুলবাবু। ওইদিন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা ঘুরে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘এদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম কোন ওয়ার্ড কেমন অবস্থায় রয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ওয়ার্ডগুলির পুর পরিষেবা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিচ্ছি।’’ আগামী কয়েকদিনে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিকাশি ব্যবস্থা কীভাবে উন্নত করা যায় তা দেখার সঙ্গে জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কোন কোন ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ এসেছে তা এদিন খোলসা করতে চাননি।
এদিন সকালে পুরসভার কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অরবিন্দ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সাফাইকর্মীদের বসতি হরিজন কলোনিতে যান। পরে যান ইস্টার্ন বাইপাস লাগোয় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দূষণের বিষয়টি স্বীকার করলেও এখনই ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আগামী পুর অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানান তিনি। পরে দুপুরে পুরসভার ৪৭ টা ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মাস্টার, সুপার ভাইজ়ার, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, জঞ্জাল অপসারণের গাড়ির কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেন।