ঝড়ে উড়ে গিয়েছে টিনের চাল, স্কুলের ক্লাস চলছে ক্লাবের ঘরে

মাস চারেক আগে ঝড়ে স্কুলবাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বাঁশের ‘ছাদ’ও। ঘরময় বাঁশের টুকরো এবং দেওয়ালের খসে পড়া পলেস্তারা ছড়ানো। স্কুলের ঘরে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়, তাই পাশের একটি ক্লাবের ঘরেই ক্লাস চলছে প্রতি দিন। ঝড়ে ক্ষতির পরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। শামুকতলার চেপানি ২ প্রাথমিক স্কুলে এমনই দশা বলে অভিযোগ।

Advertisement

রাজু সাহা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৩
Share:

এ ভাবেই ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে শামুকতলার চেপানি ২ প্রাথমিক স্কুলের ৭২ জন পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।

মাস চারেক আগে ঝড়ে স্কুলবাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বাঁশের ‘ছাদ’ও। ঘরময় বাঁশের টুকরো এবং দেওয়ালের খসে পড়া পলেস্তারা ছড়ানো। স্কুলের ঘরে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়, তাই পাশের একটি ক্লাবের ঘরেই ক্লাস চলছে প্রতি দিন। ঝড়ে ক্ষতির পরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। শামুকতলার চেপানি ২ প্রাথমিক স্কুলে এমনই দশা বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৭২ জন। পাঁচটি ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্লাস চলছে ক্লাবঘরেই। যদিও বৃষ্টি নামলেই সেই ঘরের ছাদ দিয়েও জল পড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তখন স্কুলের অফিসঘরেই ক্লাস শুরু হয়। এই ঘটনায় শামুকতলা থানার পশ্চিম চেপানি ধারসি চৌপথি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা দ্রুত স্কুল ঘরের মেরামত ও স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কের ধার ঘেষে থাকায় ওই স্কুলের পড়ুয়াদের যাতায়াতের পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার ২ বিডিও সজল তামাং বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতকে দ্রুত ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি মেরামত করতে বলা হয়েছে। স্কুলটি অন্যত্র সরানোর বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

স্কুলে ক্লাসঘরের এই সমস্যায় স্বাভাবিক পঠনপাঠন ছাড়াও অন্যান্য সরকারি প্রকল্প চালাতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মিড ডে মিল রান্না হলেও ক্লাবঘরের অপ্রশস্ত পরিসরে বসে তা খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিভিন্ন নির্দেশ পালন করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ। মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানিক রায় বলেন, “ঝড়ের পরে কাঠানোর অনেক কিছুই মিলছিল না। সে কারণে মেরামতিতে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে যত দ্রুত সম্ভব ঘরটি মেরামত করা হবে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রমীলা পণ্ডিত বলেন, “স্কুল ঘর মেরামতের জন্য সর্বত্র আবেদন জানিয়েছি। এখনও মেরামতের কাজ শুরু করা যায়নি। স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য জমি কেনা হলেও, ঘর নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি।” স্কুলের পড়ুয়াদের সমস্যার কথা শুনে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মহা সড়ক তৈরির জন্য এই স্কুলেরই মাঠ-সহ প্রায় পুরো জমিটাই অধিগ্রহণ করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাকি জমিতে টিনের ঘরে শামুকতলার থানার ৩১ সি জাতীয় সড়ক লাগোয়া চেপানি ২ প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন চলছিল। মাসদুয়েক আগের ঝড়ে সেই ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্কুলে পড়াশোনার কাজও বন্ধ বলে অভিযোগ। স্কুলের পরিকাঠামোগত সমস্যায় পড়ুয়াদের উপস্থিতিও কমতে শুরু করেছে বলে কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন