ট্যাঙ্কে লিক, গ্যাস ছড়াল বটলিং প্ল্যান্টে

ট্যাঙ্কের ভাল্ব লিক করে রান্নার গ্যাস ছড়িয়ে পড়ল জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের রানিনগর বটলিং প্ল্যান্টে। শনিবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ বিষয়টি নজরে আসতেই সংস্থা কর্তৃপক্ষ সাইরেন বাজিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেন। এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের পরে আগুন না জ্বালানো ও বাড়ির মেন সুইচ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও প্ল্যান্ট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০৮
Share:

ট্যাঙ্কের ভাল্ব লিক করে রান্নার গ্যাস ছড়িয়ে পড়ল জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের রানিনগর বটলিং প্ল্যান্টে।

Advertisement

শনিবার ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ বিষয়টি নজরে আসতেই সংস্থা কর্তৃপক্ষ সাইরেন বাজিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেন। এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের পরে আগুন না জ্বালানো ও বাড়ির মেন সুইচ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও প্ল্যান্ট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কর্তারা বাইরে এসে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।

সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাইরে থেকে আসা ট্যাঙ্ক থেকে গ্যাস রিজার্ভারে ভরার সময় কোনওভাবে ভাল্ব লিক করে রান্নার গ্যাস বেরোতে থাকে। পরিস্থিতি দেখে প্ল্যান্টের সংরক্ষিত চত্বর থেকে সাধারণ কর্মচারী এবং ট্যাঙ্কের চালকদের বাইরে বের করে সাইরেন বাজানো হয়। প্ল্যান্টে ঢোকার প্রধান দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আইওসির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজে নামেন। প্রায় তিন ঘণ্টা লড়াই চলে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও প্ল্যান্টের ভিতরে যেতে পারেনি।

Advertisement

সংস্থার দুই আধিকারিক জানান, গ্যাস লিক হলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সব রকম ব্যবস্থা প্ল্যান্টে রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে ভাল্ব মেরামত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। তাই দমকলের প্রয়োজন হয়নি।

এ দিন সাইরেনের শব্দে ঘুম ভাঙে প্ল্যান্ট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল বর্মন বলেন, “সাইরেন শুনে টের পেয়ে যাই, প্ল্যান্টের ভিতরে কিছু একটা হয়েছে। ভয়ে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। গ্যাস লিক করেছে শুনে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মাইকে প্রচার শুরু হতে আতঙ্ক বেড়ে যায়।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা অতুল সরকার বলেন, “সংস্থার তরফে মাইকে বাড়ির বিদ্যুতের মেন সুইচ বন্ধ করে দিতে বলা হয়। কেউ যেন কোথাও আগুন না জ্বালান, তার জন্যও বলা হয়। ওই কথা শুনে অনেকে চায়ের উনুনে জল ঢেলে দেন। মেন সুইচ বন্ধ করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আশপাশের চায়ের দোকান বন্ধ হয়ে যায়।

প্ল্যান্ট লাগোয়া চা দোকানের মালিক তমাল ঘোষ বলেন, “সাইরেন শুনে আর দোকান খুলিনি। বাতাসে গ্যাসের গন্ধে বুঝি, কোনও দুর্ঘটনা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন