ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল তিন পড়ুয়ার

ছুটির দিনে মোটরবাইকে চেপে জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির তিন ছাত্র। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বাইক আরোহী ৩ ছাত্রেরই মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানার চাপড়ামারি সংরক্ষিত জঙ্গল চিরে যাওয়া রাস্তায়। ৩১নম্বর জাতীয় সড়ক এবং পূর্ত সড়কের মোড় এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২০
Share:

পড়ে রয়েছে মোটরবাইক।—নিজস্ব চিত্র।

ছুটির দিনে মোটরবাইকে চেপে জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির তিন ছাত্র। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বাইক আরোহী ৩ ছাত্রেরই মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানার চাপড়ামারি সংরক্ষিত জঙ্গল চিরে যাওয়া রাস্তায়। ৩১নম্বর জাতীয় সড়ক এবং পূর্ত সড়কের মোড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রঞ্জন রায়(১৮), বিপ্রজ্যোতি রায় (১৯) এবং সুবীর রায় (১৯)। তিনজনেই ধূপগুড়ি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। মৃতদের মধ্যে রঞ্জন এবং বিপ্রজ্যোতির বাড়ি ধুপগুড়ি থানার পূর্ব মাগুরমারিতে। সুবীর ঠাকুরপাট এলাকার বাসিন্দা। মৃতেরা সকলেই ধুপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ডুয়ার্সের মূর্তি এলাকার থেকে ধুপগুড়ি ফেরার সময় পূর্ত সড়ক থেকে চাপড়ামারির ৩১নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে ওঠার সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। উল্টো দিক থেকে আসা মালবাজারমুখী একটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় তিনজন বাইক থেকে ছিটকে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। মৃত তিন ছাত্রের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পরে ট্রাকটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে যায়। পুলিশ ট্রাকটিকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। ট্রাকটি ভূটানের বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।

প্রতি রবিবার এবং অন্যান্য ছুটির দিনে ধুপঝোরার মূর্তি এলাকায় নদীর দুই ধারেই অসংখ্য বাইক দেখা যায়। যুবক যুবতীদের ভিড়ে ঠাসা থাকে ওই এলাকা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হেলমেট ছাড়া বাইক আরোহীদের দেখা যায়। বাইকে তিনজন বসে রয়েছে এমন দৃশ্যও প্রতিদিন অগুণতিবার দেখা যায়। বাসিন্দাদের দাবি, এ বিষয়ে পুলিশের কোনও নজরদারিই নেই। অস্বাভাবিক গতিতে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে একাংশ যুবক বাইক চালালেও পুলিশকে পদক্ষেপ করতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ। রবিবারের ঘটনার ক্ষেত্রে ছাত্রদের মাথায় হেলমেট থাকলে অন্যরকম ঘটত পারত বলেও বাসিন্দাদের দাবি। মালবাজারের এসডিপিও নিমা ভুটিয়া বলেন “হেলমেটের জন্যে সবসময়ই আমরা নজরদারি করে চলেছি। মূর্তি এলাকাতে সেই নজরদারি যাতে আরও বাড়ানো যায় সেটিও আমরা দেখছি।”

Advertisement

গত শনিবার সকালেও বাইকের সঙ্গে বাস এবং ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেখানেও এক আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে। রবিবারের ঘটনায় ধূপগুড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক ছাত্রের আত্মীয়ের কথায়, “পরিবারের কেউ এখন কথা বলার মতো পরিস্থিতে নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন